পোর্ট ব্লেয়ারএবং চেন্নাই থেকে কাজ শিখে এসে বাঁকুড়ায় ধোসা বিক্রি করে নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি, আরও পাঁচজনকে কাজও দিতে পেরেছেন তিনি। সুস্বাদু ধোসা খেতে এই দোকানে ভিড় হয় চোখে পড়ার মত। ধনঞ্জয় কর জানান, “আমি চেন্নাইয়ে ডিম ধোসা বানানো শিখেছি। বাঁকুড়ায় দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট, সেই কারণেই বাঁকুড়ায় এই বিশেষ ধোসার দোকান দিই। আজ পাঁচ জন আমার সঙ্গে কাজ করে।”
advertisement
ডিম ধোসা বানিয়ে দেখালেন ধনঞ্জয় নিজেই। প্রথমে ফারমেন্টেড রাইসের মন্ডটাকে ভালো করে তাওয়াতে বুলিয়ে নিলেন এবার তাতে দিয়ে দেওয়া হল ডিম। ডিমটাকে ভালোকরে ধোসার মধ্যে লাগিয়ে দিলেন তিনি। একে একে পড়ল পেঁয়াজ, ধনে পাতা এবং আলুর মশলা। ব্যাস সাদা- লাল চাটনি ও সাম্বার দিয়ে সার্ভ করলেই রেডি এগ ধোসা। ধনঞ্জয়ের স্ত্রী রিয়া দত্ত কর জানান, “সত্যিই আমরা খুবই খুশি। একটা সংস্থায় কাজ করে আজ নিজের সতন্ত্র বিজনেস করতে পেরে।”বাঁকুড়ার বাসিন্দা বিদিশা দরিপা জানান, “প্রায়শই আসা হয় ধোসা কিং’এ। ইডলি আর ধোসাটাই বেশি অর্ডার দেওয়া হয়। বাচ্চাদের জন্যেও বেশ ভাল।”
ভিড়ও চোখে পড়ার মত এই দোকানে। বাইপাস রোড পদ্মপুকুরপল্লীতে রয়েছে এই দোকান। ভিড় চোখে পড়ার মতই। ৮ থেকে ৮০ সকলেই দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের আস্বাদন নিচ্ছেন। সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার চেখে দেখতে চাইলে অতি অবশ্যই একবার পরখ করে দেখতে পারেন বাঁকুড়ার ধোসা কিং। ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী