TRENDING:

East Medinipur News: বাংলার বধূদের চিরাচরিত একান্ত মা লক্ষ্মীর সঞ্চয়পাত্র চিত্রিত করে লক্ষ্মীলাভ পটুয়াদের

Last Updated:

East Medinipur News: বর্তমান সময়ে চিত্রকররা তাদের শিল্পকর্ম বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। সেই উদ্যোগেই মাটির লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি করছে চিত্রকরেরা। আর তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে তারা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সৈকত শী, চণ্ডীপুর: বর্তমান সময়ে চিত্রকররা তাদের শিল্পকর্ম বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। সেই উদ্যোগেই মাটির লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি করেছেন চিত্রকরেরা। আর তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর পটুয়াপাড়ায় হবিচক, নানকারচক ও মুরাদপুর এই তিনটি গ্ৰাম মিলে ১১৫ টি পটুয়া পরিবারের বাস। পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তাঁরা পটশিল্পে এনেছে এক অভিনব পরিবর্তন।
advertisement

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে বর্তমানে তাঁদের গানের সঙ্গে পরিবেশিত পটচিত্রের বিষয়টিকে মনের অজান্তেই গৌণ করে ফেলেছেন। তাদের কাছে এখন মুখ্য বিষয় হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সমাজের চাহিদা মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রীর উপর পট শিল্পকে ফুটিয়ে তোলা। টি-শার্ট, ওড়না, পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাড়ি, কাঠের ট্রে, মাটির ও অ্যালুমিনিয়ামের ফুলদানি, ছাতা, মাটির জলের বোতল এবং পেনদানি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রভৃতি জিনিসপত্রের উপর পটশিল্পকে তারা সযত্নে লালন পালন করছে। এবার তারা শুরু করেছে মাটির লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি।

advertisement

উদ্দেশ্য একটাই, অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পটশিল্পের প্রসার ঘটানো। পট শিল্পের গুরুত্ব ও কদর বর্তমান লোকশিল্পপ্রেমী মানুষের মনেও জায়গা পেয়েছে। তাই চণ্ডীপুর পটুয়াপাড়ায় আবেদ চিত্রকর ও সায়েরা চিত্রকর এর এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই বললেই চলে। কলিকাতার এক ব্যাঙ্ককর্মীর কাছে তাঁরা বরাত পেয়েছেন হাজার হাজার লক্ষ্মীর ভান্ডারে পটশিল্পকে ফুটিয়ে তোলার। পাড়ার আরও প্রায় ১০-১২ জন শিল্পীর পেটের ভাত যোগাড়ের জন্য একক প্রচেষ্টায় আবেদ চিত্রকর তৈরি করেছেন কর্মশালা, লক্ষ্মীর ভান্ডারে পট শিল্পকে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীরা ব্যস্ত। লক্ষ্মীর ভান্ডারে লক্ষ্মী লাভে এখন চণ্ডীপুর পটুয়া পাড়ায় যেন খুশির হাওয়া।

advertisement

আরও পড়ুন : এই ৩ ফল খেলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে ব্লাড সুগার! ডায়াবেটিসে ঝাঁঝরা শরীর! ভুলেও কাটবেন না দাঁতে!

আবেদ চিত্রকর বলেন, ‘পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বর্তমান যুগের পরিস্থিতিতে পটের গানের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর পটশিল্পের প্রসার না ঘটালে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো পট শিল্প হারিয়ে যেতে পারে। পটের গানের জন্য আমরা হয়তো বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক পাই, কিন্তু তাতে আমরা সংসার চালাতে পারি না। গৃহসজ্জার জন্য অনেক লোকসংস্কৃতি মনস্ক মানুষজন তাদের ঘরের দেয়ালে এই পট শিল্পকে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ করেন। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি করে উপার্জন হচ্ছে ভাল।’ বর্তমানে চণ্ডীপুরের পটুয়াপাড়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে চিত্রকরদের মধ্যে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
East Medinipur News: বাংলার বধূদের চিরাচরিত একান্ত মা লক্ষ্মীর সঞ্চয়পাত্র চিত্রিত করে লক্ষ্মীলাভ পটুয়াদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল