আগে ওই আড়ৎ থেকে নানা প্রজাতির দেশি মাছ কেবল পানাগড় ও দুর্গাপুরের বাজারে যেত। পাশাপাশি ড্যামে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও টাটকা নদীর মাছ কিনে নিয়ে যেতেন। কিন্তু এখন পর্যটকদের চাহিদা মতো সনাতনবাবু আড়তে মাছ ভাজার ব্যবসা শুরু করেন। ওই চাহিদা বাড়তে থাকে স্থানীয়দের মধ্যেও। ওই নদে বোয়াল, ট্যাংরা, গলদা চিংড়ি, পাবদা, কাজলী, চিরে বাটা, বাচা-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। জনপ্রিয় ওই সমস্ত দেশি মাছ প্রথমে তেলে ভাজা হয়। তার পরে মাছ ভাজার সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও কাসুন্দি, টমেটো শস-সহ লেবুর রস ছড়িয়ে শালপাতায় পরিবেশন করা হয় মাছ প্রেমীদের। সনাতনবাবুর দাবি, একসময় তাঁর বাপ দাদুরা কেবল মাছের আড়ৎদার ছিলেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে মাছ কিনে নিয়ে খুচরো বাজারে চালান করতেন। সেই মতো সনাতনবাবুও তাই করতেন। কিন্তু ওই টাটকা মাছ দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পক্ষে বাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না। খাবার ইচ্ছে থাকলেও সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকতেন বহু মানুষ। তাই সেই সমস্ত মাছপ্রেমী পর্যটকদের আবদারে কিছু বছর আগে সনাতনবাবু মাছ ভাজা শুরু করেন আড়তে। পর্যটকদের পাশাপাশি ড্যামে ঘুরতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারাও বিকেলে মাছ ভাজা খেতে ভিড় জমায়। দেদার বিকোচ্ছে নদীর টাটকা মাছ ভাজা।
সেখানে আরও একটি মাছের আড়ৎ রয়েছে। ওই আড়ৎ থেকে কেবল মাছ কেনাবেচা হয়। সনাতনবাবুর আড়তের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা আছে এখানে মেলে ‘ফিস ফ্রাই’। দুর্গাপুর মহকুমার বুদবুদ থানার অন্তর্গত ওই রণডিহা ড্যামে সারাবছর বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। প্রথমে গ্রাহকেরা নিজের পছন্দ মতো মাছ কিনে নেন। ওই মাছ সনাতনবাবুর এক কর্মী ধুয়ে কেটে পরিষ্কার করে দেন। সনাতনবাবু গরম তেলে মচমচে করে ভেজে গ্রাহকদের শালপাতায় সাজিয়ে পরিবেশ করেন। খুব সামান্য অর্থের বিনিময়ে মাছ ভেজে দেওয়া হয় এখানে।





