TRENDING:

বিরাট চমক, চাকচিক্যের বাইরে ইতিহাসের জীবন্ত দলিল! হাতের কাছেই পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার পারফেক্ট স্পট, না জানলে মিস

Last Updated:

আনুমানিক ৪০০ বছর আগে বারো ভূঁইয়ার অত্যাচারে বাংলাদেশ থেকে প্রতাপ আদিত্যের বংশধররা আসেন বাঁকুড়া জেলায়। যা তৎকালীন সময়ে ছিল অবিভক্ত বাংলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া, নিলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: আনুমানিক ৪০০ বছর আগে বারো ভূঁইয়ার অত্যাচারে বাংলাদেশ থেকে প্রতাপ আদিত্যের বংশধররা আসেন বাঁকুড়া জেলায়। যা তৎকালীন সময়ে ছিল অবিভক্ত বাংলা। মূলত বর্তমানের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের যশোর থেকে অত্যাচারিত হয়ে তারা চলে আসেন এপার বাংলায়। অবস্থান করেন বর্তমান সময়ের বাঁকুড়া জেলার ওন্দার দামোদরবাটি গ্রামের পশ্চিমের জঙ্গলে।
advertisement

পরবর্তীকালে বসবাস স্থলের পাশে একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয় নিম কাঠের মা মৃন্ময়ীর মূর্তি। সেই সময় বিষ্ণুপুরের রাজা অম্বিকানগর যেতেন দামোদরবাটি গ্রামের উপর দিয়ে। রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাঠের মূর্তি। তিনি বিষ্ণুপুরে নিয়ে যেতে চান মায়ের দারু মূর্তি। প্রতাপ আদিত্যের বংশধরেরা রাজার হাতে তুলে দিতে চাননি মায়ের মূর্তি। বাধ্য হয়ে বিষ্ণুপুরের রাজা ১৪ টি মৌজা দান করেন তাদের এবং উপাধি দেন চৌধুরী। তখন থেকেই শুরু চৌধুরী রাজবাড়ির। প্রতিষ্ঠিত হয় মা মৃন্ময়ীর মন্দির। সেই তখন থেকেই প্রায় ৪০০ বছর ধরে নিম কাঠের মূর্তি পূজিত হয়ে আসছে মহা সমারহে।

advertisement

আরও পড়ুন: তুমুল বৃষ্টি, ফাঁকা স্টেশনে খিদের জ্বালায় ‘ওঁরা’! আচমকা পায়েস, মিষ্টি নিয়ে হাজির কিশোর! বাকিটা জানলে স্যালুট জানাবেন

View More

বাঁকুড়া জেলার দামোদরবাটি গ্রামের চৌধুরী রাজবাড়ির প্রতিমার কাঠামো একেবারে অন্য ধরনের। প্রতিমাতে স্থান পেয়েছে মায়ের গোটা সংসার। একদম উপরে অবস্থান করছেন মহাদেব। ১৬ টি মূর্তি সম্বলিত এই পুরো কাঠামোটি। বৈষ্ণবী ধারা অনুযায়ী সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে চাল কুমড়ো এবং আখ বলি হয় পুজোতে। সাবেকী পুজোয় চাকচিক্য না থাকলেও রয়েছে বহু ইতিহাস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের টানে দামোদরবাটি গ্রামে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে অষ্টমীর দিন ঢল নামে মানুষের। এখনও দেখা যাবে পুরানো রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ। সেই ধ্বংসাবশেষের আড়ালে যেন আটকে রয়েছে কত না বলার ইতিহাস কত না বলা গল্প।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

থিম পুজোর জাঁকজমক এবং চাকচিক্য থেকে বেরিয়ে যদি সাবেকিআনা অনুভব করতে চান তাহলে অবশ্যই আসন্ন দুর্গাপুজোয় চলে আসুন বাঁকুড়া জেলার দামোদরবাটি গ্রামে। পুরানো গড় দরজা পেরিয়ে সুবিশাল রাজ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলেই মনে হবে যেন পৌঁছে গেছেন তৎকালীন সময়ে। রাজ পরিবারের বংশধরদের মুখেই শুনতে পারবেন রাজবাড়ির এবং মামৃন্ময়ী ইতিহাস।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
বিরাট চমক, চাকচিক্যের বাইরে ইতিহাসের জীবন্ত দলিল! হাতের কাছেই পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার পারফেক্ট স্পট, না জানলে মিস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল