TRENDING:

Durga Puja: অসুস্থ পটচিত্রের শিল্পী, বাধ্য হয়েই বদলাল ৩০০ বছরের পুরনো রীতি

Last Updated:

মালাকার পরিবারের দাবি, পটচিত্রের শিল্পী গত ছয় বছর ধরে অসুস্থ। নতুন কোনও পটচিত্রের শিল্পীও মিলছে না। ফলে, পটের দুর্গার পরিবর্তে এখন পূজিত প্রিন্টেড দুর্গা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম,সৌভিক রায়: বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি আর এই সিউড়ি পুরসভার অন্তর্গত মালি পাড়ার মালাকার বাড়ি।  প্রায় ৩০০ বছর ধরে সেখানে পুজো হয়ে আসছিল পটের দুর্গার। তবে সেই পটের দুর্গাই এখন পরিবর্তিত হয়েছে প্রিন্টেড দুর্গায়। ভাবছেন তো, হঠাৎ কেন ৩০০ বছরের রীতিতে পরিবর্তন এল? মালাকার পরিবারের দাবি, পটচিত্রের শিল্পী গত ছয় বছর ধরে অসুস্থ। নতুন কোনও পটচিত্রের শিল্পীও মিলছে না। ফলে, পটের দুর্গার পরিবর্তে এখন পূজিত প্রিন্টেড দুর্গা।
advertisement

হাতে গোনা যে কয়েকজন পটশিল্পী আছেন, তাঁরা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ছবি আঁকার সময়  দিতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই মালাকার পরিবার পটের দুর্গার পরিবর্তে পুজো করছেন প্রিন্টেড দুর্গার। তাতে একদিকে যেমন সমাধান হয়েছে শিল্পী না মেলার সমস্যার, অন্যদিকে খরচ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।

পরিবারের সদস্য কিশোর মালাকার জানান, ‘প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। এই পুজোর পুজারীরাও প্রায় দশ পুরুষ ধরে এই পুজো করে আসছেন। ঢাকিরাও প্রায় ১০ পুরুষ ধরে এখানে ঢাক বাজিয়ে আসছেন। বরাকরের বাসিন্দা পটচিত্রশিল্পী মলয় মালাকার ২৫ বছর ধরে দুর্গার ছবি এঁকে আসছিলেন। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। তারপর নতুন শিল্পীও সেই পাওয়া যায়নি। হাতেগোনা যে কয়েকজন আছেন, তাঁরাও সময় দিতে পারছেন না।\”

advertisement

তাই বাধ্য হয়েই পাঁচ বছর ধরে প্রিন্ট আউট করে মা দুর্গার পুজো করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে এই মা দুর্গার ছবি প্রিন্ট করিয়ে আনার পর সেটিকে বাড়ির সদস্যরা সাজিয়ে তোলেন। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ায় এখানে কোনও প্রাণীর বলি দেওয়া হয় না। এমনকি চার দিন ধরে বাড়ির সদস্যরা কোনও কাটা সবজিও খেতে পারেন না। নবমীর দিন কুমড়ো বলি হওয়ার পর বটিতে সবজি কেটে রান্না করা হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Durga Puja: অসুস্থ পটচিত্রের শিল্পী, বাধ্য হয়েই বদলাল ৩০০ বছরের পুরনো রীতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল