হাতে গোনা যে কয়েকজন পটশিল্পী আছেন, তাঁরা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ছবি আঁকার সময় দিতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই মালাকার পরিবার পটের দুর্গার পরিবর্তে পুজো করছেন প্রিন্টেড দুর্গার। তাতে একদিকে যেমন সমাধান হয়েছে শিল্পী না মেলার সমস্যার, অন্যদিকে খরচ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।
পরিবারের সদস্য কিশোর মালাকার জানান, ‘প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। এই পুজোর পুজারীরাও প্রায় দশ পুরুষ ধরে এই পুজো করে আসছেন। ঢাকিরাও প্রায় ১০ পুরুষ ধরে এখানে ঢাক বাজিয়ে আসছেন। বরাকরের বাসিন্দা পটচিত্রশিল্পী মলয় মালাকার ২৫ বছর ধরে দুর্গার ছবি এঁকে আসছিলেন। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। তারপর নতুন শিল্পীও সেই পাওয়া যায়নি। হাতেগোনা যে কয়েকজন আছেন, তাঁরাও সময় দিতে পারছেন না।\”
advertisement
তাই বাধ্য হয়েই পাঁচ বছর ধরে প্রিন্ট আউট করে মা দুর্গার পুজো করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে এই মা দুর্গার ছবি প্রিন্ট করিয়ে আনার পর সেটিকে বাড়ির সদস্যরা সাজিয়ে তোলেন। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ায় এখানে কোনও প্রাণীর বলি দেওয়া হয় না। এমনকি চার দিন ধরে বাড়ির সদস্যরা কোনও কাটা সবজিও খেতে পারেন না। নবমীর দিন কুমড়ো বলি হওয়ার পর বটিতে সবজি কেটে রান্না করা হয়।