মুর্শিদাবাদ শহরের পাশেই অবস্থিত নশিপুর রাজবাড়ি। নশিপুর রাজবাড়ির আন্দরেই আছে এক মন্দির। এই মন্দিরে ২৫টি চুরা আছে। যা পদ্ম ফুলের আকৃতি। পদ্ম ফুলের মতো দেখতে বলেই এই মন্দির পরিচিত। কথিত আছে, রাজা দেবী সিং এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পানীপথ থেকে এই বিগ্রহ নিয়ে আসা হয়েছিল নশিপুরে। রাম চন্দ্র থেকে কালী সমস্ত কিছুই আছে। সোনা রূপা অষ্টধাতু কষ্টিপাথরের মুর্তি বর্তমানে। ৩৩কোটি দেবতা বলা হয়। কিন্তু ৩৩কোটি প্রকার বলা হয় দেবতাদের। আর সেই ৩৩ প্রকারের সমস্ত দেব দেবীর রুপ আছে এই মন্দিরে।
advertisement
আরও পড়ুনShort Travel Destination: ইছামতীর তীরে ভ্রমণের নতুন সন্ধান! কম বাজেটে ঘুরে আসুন দক্ষিণ হাওয়া রিসর্ট
নশিপুর প্রাসাদ ছিল দেবী সিংহের দরবার, যিনি নবাবী আমলে ব্রিটিশদের ব্যয় আদায়কারী ছিলেন এবং কঠোর কর কর্তৃপক্ষ হিসাবে খ্যাত ছিলেন। নশিপুর রাজবাড়ির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, ফরম্যান্স, সেই সময়ের কর আদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি দলিল এবং অন্যান্য বিষয়াদি প্রদর্শন করে এটিকে নশিপুর রাজবাড়ি যাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে। রাজ প্রাসাদে রামচন্দ্রের একটি মন্দিরও রয়েছে, যা মুর্শিদাবাদ জুড়ে অন্যতম বৃহত্তম মন্দির।
বর্তমানে শ্রাবণ মাসের ঝুলন যাত্রা ঠিক তেমনই বিখ্যাত রয়েছে রথযাত্রা উৎসব ।যা দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। এছাড়াও দোল পুর্নিমাতে বিশেষ পুজো চলে মন্দিরে। তবে বছরের অন্যান্য সময় এই মন্দির দর্শন করতে আসেন পর্যটকরা।
১৭৫৬ সালে রাজা দেবী সিংহ পানিপথ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসেন ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে পরে ব্রিটিশদের আনুগত্য পেয়ে ট্যাক্স কালেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সেই কাজ যথেষ্ট ভালোভাবে সম্পন্ন করেন। ধীরে ধীরে এই কাজে রপ্ত হয়ে হেড কালেক্টর হয়ে যান। এইভাবেই তিনি বাংলায় থেকে যান এবং নশিপুর রাজবাড়ি স্থাপন করেন এবং গড়ে ওঠে এই সুবিশাল মন্দির।
কৌশিক অধিকারী