শীতের মাঝে বাড়ি বাড়ি পিঠেপুলি খাওয়ার চল রয়েছে। কুয়াশায় ঢাকা পথের পাশে দাঁড়িয়ে শীতের সদ্য ওঠা নতুন চালে তৈরি ধুকি পিঠা ও ঝোলাগুড়, যে খেয়েছে সেই জানে এর স্বাদ কোনওভাবেই ভোলার নয়। এখানের ধুকি-র সঙ্গে অনেক মেলে ভাপা পিঠের। তবে এই পীঠে এখন মানুষের দুয়ারে নিয়ে পোঁছে যাচ্ছেন বিক্রেতারা ।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
চালের গুঁড়ো, নারকেল ও গুড়ের মিশ্রণে তৈরি হয় এই সুস্বাদু খাবার। একটি ছাঁচে ফেলে নির্দিষ্ট আকার দেওয়ার পর একে ভাপানো হয়। কতকটা ভাপা পিঠের মতো। দামেও বেশ সস্তা। অগ্নিমূল্যের বাজারেও এর দাম পাঁচ টাকার মধ্যে। সকালের এই খাবারে কম পয়সায় পেটও ভরে। রঘুনাথগঞ্জ, ধুলিয়ান, উমরপুর, সামশেরগঞ্জ এলাকায় শীতকালের সকালে মেলে এই প্রাতরাশ।অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা মূলত আংশিক সময়ে ব্যবসা হিসাবে এই ‘ধুকি’ বানিয়ে বিক্রি করেন। তবে মাঝেসাঝে মেলায় এই পিঠা নিয়ে যাওয়ার ডাক আসে। তখন কিছুটা বাড়তি আয় হয় তাঁদের।
বিক্রেতা বলেন, অনেকটা ভাপা পিঠের পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই ‘ধুকি’ নামের খাবারটি। প্রথমে চালের গুঁড়োর মাঝে একটু গর্ত করে সেখানে নুন ও সামান্য জল দেওয়া হয়। এবার জল ও নুন খুব ভাল করে চালের গুঁড়োর সঙ্গে মাখা হয় ঝরঝরে করে।হাতের মুঠির মধ্যে ওই ঝরঝরে গুঁড়ো চাপ দিলে যদি মুঠি শক্ত হয় তবে বুঝতে হবে ‘ধুকি’র জন্য একদম ঠিকঠাক গুঁড়ো মাখা হয়েছে।বিক্রেতা আমাদের আরও জানান প্রত্যেকদিন প্রায় ৩০০ পিস পিঠে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি পিঠের দাম ৫, ১০ ও ১৫ টাকা। মূলত অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ এই তিন মাস সকাল হোক বা সন্ধ্যা তিনি এই পিঠে বিক্রি করে থাকেন।
তন্ময় মণ্ডল





