ভুট্টা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্যশস্য। তাই ভুট্টা খাওয়ায় অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। ভুট্টার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, যার কারণে বহু ডাক্তার এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “ভুট্টায় আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তে লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। ভুট্টায় রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে ইনসুলিনের শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিনা পুঁজিতে ৬ মাসের ব্যবসা, লক্ষ লক্ষ টাকা আয়! স্বল্প সময়ে লক্ষ্মী আসবে ঘরে
ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে। মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশ বা ফাইবার জাতীয় শস্য। এটি কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। এ কারণে দেরিতে হজম হয় এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। একটা ভুট্টা শরীরে এক টন বিটা ক্যারোটিন সরবরাহ করে যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।
তিনি আরও জানান, “প্রতি ১০০ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১.৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে। তবে মনে রাখতে হবে ভুট্টার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ভুট্টা খাওয়া উচিত। নাহলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়াও ‘ইনজেস্টিবল প্রোটিন’ থাকায় ভুট্টা থেকে অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে। বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা ভুট্টা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা কিছু ক্ষেত্রে তৈরি হয়।” তাই অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে ভুট্টা খাওয়া উচিৎ।
Sarthak Pandit