স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘প্রতি দিন সকালে ধনে বীজ ভেজানো জল রক চিনির সঙ্গে চায়ের মতো পান করলে শরীরের যে কোনও অংশের জ্বালাপোড়া উপশম করতে সাহায্য করে।’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আয়ুষ মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছিল, সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ধনে গুঁড়ো বা ধনে বীজ ভেজানো জল চায়ের মতো পান করলে উপকার মিলবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কপালের গড়নই বলে দেবে ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দেখে নিন এক নজরে
এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মতো উপকারী ভেষজ গুণ। প্রতি দিন এই পানীয় পান করলে বদহজম, পেটে ব্যাথা, কৃমির হাত থেকেও মুক্তি মিলবে। প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব দূর করতেও ধনে বীজ ভেজানো জল তুলনাহীন। নিয়মিত পানে শারীরিক তৃপ্তি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করে।
ধনে বীজ ভেজানো পানীয়ের বৈশিষ্ট্য
১। স্বাদ- কষা এবং তিতকুটে।
২। গুণ- লঘু এবং স্নিগ্ধ।
৩। ক্ষমতা- উষ্ণ
৪। হজমের পরে স্বাদ- মিষ্টি।
৫। প্রভাব- বায়ু, পিত্ত ও কফের দোষ দূর করে।
রেসিপি
১। ২৫ গ্রাম ধনে বীজ গুঁড়ো করে নিতে হবে।
২। তাতে ১৫০ গ্রাম জল মেশাতে হবে।
৩। এবার সেটা সারারাত বা ৮ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।
৪। পরের দিন অল্প রক সুগার মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে।
আরও পড়ুন- দাঁত হার মানাবে মুক্তোর জেল্লাকেও! এই খাবারগুলিকে অবশ্যই নিজের ডায়েটে যুক্ত করুন
খাবার ধরন
১। প্রতি দিন সকালে হাফ চা চামচ চিনির সঙ্গে খালি পেটে পান করতে হবে।
২। অল্প পরিমাণ রক সুগারের সঙ্গে দিনে দুই থেকে তিন বারও পান করা যেতে পারে।
৩। একবার তৈরি করে দুই দিনের মতো ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়।
৪। ক্যানে সংরক্ষণ করতে পারলে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।