#কলকাতা: সবার জীবনেই এমন একটা সময় আসে যখন ওজন কমানো একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাড়ায়। ওজন কমিয়ে নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে মানুষ মরিয়া হয়ে যায়। আমাদের সমাজে বর্তমানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ডায়েট করা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। দ্রুত এবং কম সময় ওজন কমবে নিশ্চিত করে প্রতিনিয়তই বাজারে নতুন নতুন ‘ট্রেন্ডিং ডায়েটের’ আবির্ভাব হচ্ছে। মানুষ এই ডায়েটগুলি ফলো করতে রোজ সবুজ শাক-সবজি, গ্রিন টি সহ বিভিন্ন অর্গানিক খাবারের খোঁজে বাজার এবং শপিং মলে লাইন দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- ১৫ মিনিটে ঘরে আসবে মুদিখানার জিনিস; চালু হচ্ছে Ola-র নতুন পরিষেবা ‘Ola স্টোর’!
পুষ্টিকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট অবশ্যই শরীরের পক্ষে ভালো কিন্তু সমস্যা হল এমন খুব কম মানুষ রয়েছে যারা জানানে আমরা প্রতিনিয়ত যে খাবার খাই তা শরীরের প্রতিটি অংশকে কী ভাবে প্রভাবিত করে। লিপিড এবং প্রোটিনের ভালো প্রভাব সম্বন্ধে ভাবা হয় কিন্তু খাবারে থাকা অ্যাসিড কী ভাবে আমাদের দাঁতের ক্ষতি করে সেই বিষয়ে খুব কম জনই তোয়াক্কা করে। দাঁতের স্বাস্থ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। মানুষকে দাঁতের সুস্থতা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত এবং দন্ত ক্ষতিকারক খাবার উপেক্ষা করে চলা উচিত।
খাবার দাঁতের ওপর কতটা খারাপ প্রভাবে ফেলে?
কথায় আছে, আমাদের খাবারই হচ্ছে আমাদের শারীরিক পরিচয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ফার্স্ট ফুড জাতীয় পানীয় প্লাক তৈরি করতে পারে যা দাঁতের চরম ক্ষতি করতে পারে। প্লাক হল এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার স্তর যা মাড়িতে রোগ রোগ সৃষ্টি করে এবং দাঁতের ক্ষয় করে। আমরা যখন মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার খাই তখন চিনি ব্যাকটেরিয়াকে অ্যাসিড তৈরি করতে সাহায্য করে যা এনামেলকে ধ্বংস করতে থাকে। এনামেল ক্ষয় হলেই সেখানে ক্যাভিটি দেখা যায়।
দাঁতের সুস্থতার জন্য কেমন খাবার খাওয়া উচিত?
ফ্লোরাইডযুক্ত খাবার
ফ্লোরাইডযুক্ত জল বা ফ্লোরাইডযুক্ত জল ব্যবহার করে বানানো যে কোনও খাবার দাঁতের উপকার করে। জুসের পাউডার (যতক্ষণ না তাতে চিনির উপাদান থাকছে) এবং ডিহাইড্রেটেড স্যুপ এই খাবারের বিভাগের মধ্যে পড়ে। ফ্লোরাইড বাণিজ্যিকভাবে তৈরি খাবার যেমন মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং গুঁড়ো সিরিয়ালের মধ্যেও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব !
চা, বাদাম এবং চর্বিহীন প্রোটিন
মিষ্টি ছাড়া বানানো ব্ল্যাক এবং গ্রিন টি-তে এমন রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা প্লাকের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। মাংস, মাছ, মুরগির মাংস এবং তোফুর মতো খাবারেও তা থাকে। এছাড়া, চর্বিহীন প্রোটিনে ফসফরাস এবং প্রোটিন থাকে যা দাঁতকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া সবুজ শাক-সবজি, সুগার ফ্রি চুইং গাম, আপেল, গাজর, এবং সেলারি জাতীয় খাবার ডায়েটে যোগ করলেও মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Oral Health