এই পাটি তৈরি হয় কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি গ্রামে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৪০ থেকে ৫০ হাজার পরিবার। পরিবারের মহিলা, পুরুষ কিংবা কিশোর সকলেই জানেন শীতলপাটি তৈরি করতে। বর্তমানে গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিস তৈরি হচ্ছে শীতলপাটি দিয়ে। রিঙ্কি দে নামের এক শিল্পী জানান, ” আমরা সবাই মিলেই এই পাটি তৈরি করি। পুরুষেরা ক্ষেত থেকে বেত তুলে নিয়ে আসে, তার পর সেই বেতকে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। বেতের ভিতর থেকে পাতলা পাতলা কঞ্চি বের করা হয়, তা দিয়েই তৈরি করা হয় পাটি।” বংশানুক্রমে এলাকার সকল শিল্পীরা তৈরি করে থাকেন শীতলপাটি।
advertisement
একটি পাটি তৈরি করতে সময় লাগে দু থেকে তিন দিন। পরিশ্রমও অনেকটাই বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় পারিশ্রমিক মেলে না শিল্পীদের। তাই শিল্পীরা এই পাটি ব্যবহার করে অন্যান্য জিনিস তৈরি করছেন। ঘরের আসবার পত্র থেকে শুরু করে জুতো, মহিলাদের ব্যাগ-সহ নানান জিনিস তৈরি হচ্ছে। অসমে এই জিনিসগুলির চাহিদা রয়েছে। মুনাফা হচ্ছে অনেক বেশি। জানা যায়, অসম থেকে বড় বড় মেলায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের শিল্পীদের। কোনও কোনও মেলায় দিন হিসেবে দু’হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক মেলে। আবার কোনও কোনও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে তাঁদের তৈরি জিনিসগুলি কিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
Annanya Dey