প্রশাসনিকভাবে এবং ছট পুজো কমিটিগুলির তরফ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চালানো হচ্ছে বিভিন্ন পুকুর ঘাটে। তবে জানলে হয়তো অবাক হবেন তিন দিনের ছট পুজোর রীতি-নীতির ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে যে সকল নিয়ম রয়েছে তার মধ্যেও রয়েছে অনেক সায়েন্টিফিক অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক কারণ।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনে নদীর চড়ে জোড়া বাঘের তীব্র লড়াই! রুদ্ধশ্বাস দৃশ্য পর্যটকের ক্যামেরাবন্দি, দেখুন
advertisement
ছটপুজোর ক্ষেত্রে যে সকল রীতিনীতি রয়েছে তা হল মূলত তিন দিনের। প্রথম দিন স্নান করে শুদ্ধ কাপড়ে, বিশেষ করে নতুন জামাকাপড় পরার পর লাউ ভাত খেতে হয়। দ্বিতীয় দিনে সারাদিন নির্জলা উপবাস করে পালন করা হয় খরনা। এরপর রবিবার প্রথম অর্ঘ্য। যেদিন সূর্য দেবতাকে প্রথম অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। সোমবার দেওয়া হবে দ্বিতীয় অর্ঘ্য। প্রথম দিন পালন করা হয় বিকালে অর্থাৎ সূর্যাস্তের সময় এবং দ্বিতীয় দিন পালন করা হয় সূর্যোদয়ের সময়।
আরও পড়ুনঃ আম বাগানে ওটা কী! কিছুক্ষণেই তোলপাড় মালদহ, ঘনাচ্ছে গভীর রহস্য
উল্লেখ্য, ছটপুজো পালনের ক্ষেত্রে খাবারের যে প্রচলন বা রীতি রয়েছে তা থেকে আমরা বিশেষজ্ঞ এবং ছটপুজোর উপাসকদের থেকে জানতে পেরেছি, বেশ কিছু সায়েন্টিফিক বা বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে তাদের রীতির ক্ষেত্রে।
প্রথমত লাউ ভাত, লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ছোলার ডাল, দু'দিনের উপবাসের পর শরীরে যে প্রোটিনের অভাব থাকে তা দূর করে। এ ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ধরে জলে দাঁড়িয়ে সূর্য দেবতার যে আরাধনা করা হয় সে ক্ষেত্রে লোম কোষের মধ্য দিয়ে জল প্রবেশ করে শরীরে জলের অভাব পরিপূরণ করে।
Madhab Das