গাইঘাটার আব্দুল মোল্লা, ইসমাইল আলীরা এই বিশেষ কড়কনাথ মুরগি পালন করছেন। স্বাদে এবং গুণের দিক দিয়ে অন্য যেকোন মুরগির থেকে হাজার গুণে এগিয়ে কড়কনাথ। করকনাথ চিকেনের বাজার এখনও সেভাবে পাওয়া না গেলেও, ধীরে ধীরে এই মুরগির চাহিদা বাড়ছে রাজ্যে। অল্প দিনের মধ্যেই ডিম দিতে শুরু করে এই প্রজাতির মুরগি। ফলে মাংসের সঙ্গে ডিম বিক্রি করে মুনাফা পাওয়া সম্ভব বলে দাবি মুরগি চাষিদের। বর্তমানে এ রাজ্যেও ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে এই মুরগির মাংস। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ডাক্তাররাও জানাচ্ছেন, এই মাংস স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেকটাই উপকারী।
advertisement
আরও পড়ুন:
প্রাণী সম্পদ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, অন্যন্য মুরগির মাংসে যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ প্রোটিন থাকে সেখানে করকনাথে প্রোটিনের পরিমান ২৫ শতাংশ। আজকাল আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা বড্ড বেশি কোলেস্টেরল সচেতন। তাদের জন্য খুব ভাল কড়কনাথ। পোলট্রি মুরগি বা দেশি মুরগিতে যেখানে কোলেস্টেরলের পরিমান ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ সেখানে কড়কনাথে কোলেস্টরলের পরিমান মাত্র এক শতাংশ। এছাড়াও এই কালো মুরগির মাংসে অনেক বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, বি ওয়ান, বি টু ভিটামিন থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য সুখকর। এই মাংসে মেলানিন থাকায় তা রক্তচলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে সাধারণ সুস্থ মানুষের পাশাপাশি অসুস্থ, রোগীদের জন্য আদর্শ কড়কনাথ চিকেন। তবে রাজ্যে এখনও এই চিকেনের উপযুক্ত বাজার না থাকায় সুফল বাংলার মাধ্যমে এই চিকেন বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানা যায়।
Rudra Narayan Roy