আর এই খোল বানিয়ে মাস গেলে ৩০ হাজার টাকারও বেশি উপার্জন করছেন বীরভূমের মুরারই-এর ভাদিশ্বরের বাসিন্দা সূর্য রবিদাস। বীরভূমের মুরারই-এর ভাদিশ্বরের তৈরি শ্রীখোল করতাল কীর্তনে মেতেছে গুজরাট। সূর্য রবিদাস বাবু জানান এই খোল বিক্রি করে মাস গেলে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হয়ে থাকে এবং বছরে তিনি প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ এর কাছাকাছি খোল তৈরি করেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
গ্রাম বাংলায় কীর্তনের জন্য অত্যাধিক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হল শ্রীখোল। আর সেই খোল বানাচ্ছেন বছর ৪৫ এর সূর্য রবিদাস। আজ থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে তিনি কিন্তু এই খোল তৈরির ব্যবসা করতেন না। গ্রামবাংলায় আর পাঁচ জনের মত তিনি চাষবাস করতেন। তবে ২০ বছর আগে শ্বশুরের কাছ থেকে কাজের ফাঁকে খোল তৈরির কাজ শেখেন। বীরভূমের ভাদিশ্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছোট্ট একটি দোকান খুলে সেখানেই তিনি বর্তমানে খোল তৈরির ব্যবসা শুরু করেছেন। তবে কীভাবে তৈরি হয় এই খোল!
এই বিষয়ে সূর্য রবিদাস জানান খোল সাধারণত মাটির তৈরি এবং তা আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হয়। বর্তমানে কাঠের তৈরি খোলও পাওয়া যায়। খোলের দুই মুখে চামড়ার ছাউনি থাকে, যা সাধারণত গরু বা ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি হয়। এর পাশাপাশি খোল তৈরির সুতো আর কাঠামো তিনি নিয়ে আসেন কৃষ্ণনগর থেকে। সূর্যবাবু জানান বিশেষ উপায়ে খোলে চামড়া লাগিয়ে টান দেওয়া হয়। শেষে খোলের ডানদিকে মাটির গুঁড়ো দিয়ে ও বাঁদিকে ঝামা পাথরের কালো গাব দেওয়া হয়। এরপরে নিজেই বাজিয়ে দেখে নেন তাল ঠিকঠাক আছে কিনা। এমন ভাবেই তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে খোল বানিয়ে আসছেন।
সৌভিক রায়





