এই গান ও নাচের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেন যুবক-যুবতীরা। বর্তমানে ভাইলোনি ও দেউসি পরিবেশন করছে নেপালি সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরীরা। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গান গেয়ে, নৃত্য প্রদর্শন করে টাকা, মিষ্টি এবং খাবার সংগ্রহ করেন তাঁরা। বয়স্কদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আসেন নেপালি ছেলে, মেয়েরা।
আরও পড়ুন: মাছের গাড়িতে আগুন লাগাল জনতা, কারণ শুনলে রাগে ফুঁসবেন! রক্তাক্ত তমলুক
advertisement
দীপাবলির দিন লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন নেপালি সম্প্রদায়ের মহিলারা। এরপর থেকে শুরু হয় ভাইলোনি উৎসব। ভাইটিকার পরের দিন অবধি চলে দৈউসি উৎসব। ভাইলোনি গানটি করে মেয়েরা। আর ছেলেদের গানটিকে বলা হয় দৈউসি। ভাইটিকার আগে এই গান পরিবেশন করে টাকা সংগ্রহ করে ভাই, বোনেদের জন্য উপহার কেনা হয়। প্রাচীনকাল থেকে এই প্রথা মেনে আসছেন নেপালি যুবক,যুবতীরা। এই নিয়ম বজায় রেখেছেন তারা। আগে নেপালি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে খেলায় অংশগ্রহণ করতেন। তবে এখন সেই পোশাক তেমন অর্থে পরতে দেখা যায় না এই ছেলেমেয়েদের।
আরও পড়ুন: শব্দদানবের দাপট কমলেও কালীপুজোর রাতে কলকাতায় রেকর্ড ছাড়াল দূষণ
দেউসি পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত আনন্দ ছেত্রী নামের এক যুবক জানান, “অনেক সংস্কৃতি আমাদের হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভাইলোনি ও দেউসিকে আমরা হারিয়ে যেতে দেব না। আমাদের দেখে শিশুরা শিখছে। অনেক শিশু গান গাইছে ভাইলোনি ও দেউসির।”
ভাইটিকার আগে এই উৎসব পালন করে যেতে বদ্ধপরিকর নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ভাইলোনি ও দেউসির গান শুনবেন বলে অনেকেই বছরভর অপেক্ষা করেন বলেও জানা যায়।
Annanya Dey