দই একটা আলাদাই স্বাদের জিনিস। বাচ্চা হোক বা বয়স্ক সকলেই খেতে ভালবাসেন। কখনও দুপুরে খাবারের শেষ পাতে হোক আবার কখনও বিয়ে, অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবারের শেষ পাতে হোক দই পেলে বেশ ভালই লাগে। কেউ আবার চিঁড়ে দিয়ে দই খেতে ভালবাসেন। আর সেই দই যদি হয়ে যায় একটু মজাদার স্বাদের তাহলে জমে যায় ব্যাপারটা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের এই জায়গায় রয়েছে সেই জনপ্রিয় দই। যে দই খেলে আপনিও হয়ত ভুলতে পারবেন না।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
দই বিক্রেতা জয়ন্ত রায় চৌধুরী বলেন “ এই ব্যবসা আমি প্রায় ৬০ বছর ধরে করে আছি। ব্যবসাটা পুরোপুরি দই এর উপরেই নির্ভর করে। আমাদের এখানে লাল দইটা জনপ্রিয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অনেক জায়গা থেকে, অন্য জেলা থেকেও আসেন অনেকে। এমনকি ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকে এই দই নিয়ে যান। কেউ চাইলে স্পেশাল দইও নিতে পারেন। সেই দই আমসত্ত্ব, কিসমিস, কাজু দিয়ে তৈরি করা হয়”।
আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত বানপুর শিল্প নগরীতে রয়েছে জনপ্রিয় একটি দই। সেই দই এর স্বাদ নিতে গেলে আপনাকে আসতে হবে প্রথমে আসানসোল বাসস্ট্যান্ড। এরপরে বার্নপুরের বাস ধরে সোজা বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড নামতে হবে। সেখান থেকে আপনি হেঁটেই যেতে পারবেন সুভাষ পল্লীতে। সেখানেই রয়েছে এই জনপ্রিয় দই। তার তৈরি দই শুধু আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া নয় ভিন রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও মানুষজন আসেন দই নিতে। এই ব্যবসা প্রায় ৬০ বছরের পুরনো। ২৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫০০ গ্রাম ও এক কেজি ওজনের দই পেয়ে যাবেন এখানে। তবে এই দইয়ের বেচাকেনা বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন পরিমানের হয়ে থাকে। তার ব্যবসা মূলত দই এর ওপরেই নির্ভর করে আছে। স্বাভাবিকভাবেই জয়ন্ত বাবুর তৈরি এই দই চারিদিকে ভাল চর্চা শুরু হয়েছে।
রিন্টু পাঁজা