আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তেজপাতার ওষধি গুণ সমাদৃত৷ তেজপাতায় আছে ভিটামিন এ, সি, ফলিক অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় প্রচুর খনিজ৷ ফলে পুষ্টিমূল্যে এই পাতা জুড়িহীন৷ যে কোনও রান্নায় তেজপাতা দিলে একলাফে তার গুণাগুণ বেড়ে যায়৷ যোগ হয় বাড়তি স্বাদ ও গন্ধও৷ আসুন, দেখে নিই তেজপাতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অজানা গুণ৷
আরও পড়ুন : চাটনি হোক বা আচার, বহু জটিল অসুখ দূর রাখতে শীতের আহারে অবশ্যই রাখুন জলপাই
advertisement
আমাদের শরীরের পরিপাক ক্রিয়ার উপর তেজপাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ শরীরে টক্সিসিটি কমায়৷ তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যাতে ভালভাব কাজ করতে পারে, সেদিকও সুনিশ্চিত করে৷ তেজপাতায় যে জৈব যৌগ আছে, তার প্রভাবে পেটের গণ্ডগোল এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা IBS-এর উপশম হয়৷ কিছু জটিল প্রোটিন শরীরে চট করে হজম হতে চায় না৷ সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে তেজপাতা৷ এই পাতায় থাকা উৎসেচকগুলি পরিপাক ক্রিয়াকে মজবুত করে৷
আরও পড়ুন : ত্বকের রুক্ষতাকে ফুৎকারে উড়িয়ে উপভোগ করুন শীত
তেজপাতায় আছে ক্যাফেইক অ্যাসিড এবং রাটিন৷ এই উপাদানগুলির ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে৷ এই দুই উপাদান আমাদের হার্টের ক্যাপিলারি ওয়াল মজবুত করে৷ এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে কার্ডিওভাসক্যুলার সিস্টেম ঠিক রাখে৷
আরও পড়ুন : সহজ এই উপায়গুলিতে শীতেও চুল থাকে মোলায়েম
গবেষণায় দাবি, প্রতিদিন ডায়েটে ১ থেকে ৩ গ্রাম তেজপাতা থাকলে রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কম রাখে৷ ইনসুলিন যাতে ঠিকমতো কাজ করে, সেদিকেও বড় ভূমিকা পালন করে তেজপাতা৷ ফলে মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রে সেটি আশীর্বাদস্বরূপ৷
মানসিক উদ্বেগ ও ডিপ্রেশনের মোকাবিলাতেও তেজপাতা কার্যকর৷ আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতার লিনালুল৷ তাছাড়া এই পাতার বিভিন্ন উপাদান ডিপ্রেশনের তীব্রতাও প্রশমিত করে৷
তেজপাতায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান৷ তাছাড়া তেজপাতার পার্থেনোলাইড উপাদানের উপস্থিতিতে বাতের ব্যথা সমস্যাতেও এই মশলা কার্যকর৷