রাজবাড়ির ইতিহাস নিজের হাতে সংরক্ষণ করেছেন গৌরী শঙ্কর নারায়ণ দেও। প্রায় পাঁচ বছরের কঠিন পরিশ্রম এবং গবেষণার পর এই ছোট্ট সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে। তৎকালীন রাজত্বের ইতিহাস, বংশক্রম, অস্ত্র যেমন তরবারি, ছোট তোপ ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা আছে। অনেকেই জানেন না এই সংগ্রহশালার কথা। রাজবাড়ি দেখতে এসে অবশ্যই একবার নেড়ে চেড়ে দেখুন এই সংগ্রহ গুলি।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
অম্বিকানগরের তৎকালীন বজ্রকঠিন রাজা রাইচরণ প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনে। তাঁর উদ্যোগেই অদূরে ছেঁদাপাথর এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে গড়ে ওঠে বিপ্লবীদের গোপন ডেরা। সেই ডেরায় অস্ত্র তৈরি এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যাতায়াত ছিল বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রফুল্ল চাকী, ভূপেশ দত্তের মত প্রথম সারির বিপ্লবীদের।
শোনা যায় যে অম্বিকানগর রাজবাড়ি থেকে প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে রাজা রাইচরণ যেতেন সেই গুপ্ত ডেরায়। নিজে হাতে করে পৌঁছে দিতেন অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ। যদিও গুপ্তচর মারফত রাজার এই সব বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড জানতে পারে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আলিপুর বোমা মামলায় কিছু দিন কারাবাসের পর প্রমাণের অভাবে মুক্ত হন রাইচরণ।
আরও পড়ুন Khudiram Bose: বাঁকুড়ার এই জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বানানো হত মাটির বোমা, ঘুরে দেখুন
এখনও কিছু তরবারি সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। পরিবেশটা বেশ মনোরম। মাঠের পাশে দুর্গা মন্দির এবং সেই মন্দির সংলগ্ন রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ। রাজবাড়ি চত্বরেই বসবাস করেন গৌরী শঙ্কর নারায়ণ দেও এবং তাঁর পুত্র। তাদের প্রচেষ্টাতেই নিজেদের পরিবারের ইতিহাস নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়





