স্বর্ণশালাকা বা পঞ্চশলাকার সাহায্যে এই সমস্ত রোগের চিকিৎসা মিলছে অগ্নিকর্ম পদ্ধতিতে। এটি ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি তবে তেমন প্রচলন নেই। ধীরে ধীরে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ রোগীরা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।
advertisement
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাক্তার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, অপারেশন বা ওষুধ ছাড়া যে সমস্ত ব্যথা সেরে ওঠে না, মূলত সেই ধরনের ব্যথার চিকিৎসা এই অগ্নিকর্ম পদ্ধতিতে করা হয়। কোনরকম ওষুধ ছাড়াই চিকিৎসা হয়। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলিতে হচ্ছে। রোগীরা ব্যাপক উপকার পাচ্ছেন।
মালদহেও এখন এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালু হয়েছে। শুধুমাত্র বিভিন্ন ব্যথা নয় এই অগ্নিকর্ম চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের বিভিন্ন অংশে বেরিয়ে পড়া আঁচিল,পায়ের কড়া-সহ বিভিন্ন এই ধরনের রোগের চিকিৎসা সহজেই সম্ভব হচ্ছে।
কোনরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই সমস্ত রোগ থেকে মানুষ মুক্তি পাচ্ছেন। সামান্য কিছু সময়ের মধ্যেই সেরে উঠছে আঁচিলের মতন বিভিন্ন রোগ। বর্তমানে এই চিকিৎসা এখন মালদহে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে এ সমস্ত রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। অগ্নিকর্মর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আয়ুশ মেলায় বিশেষ স্টল দেওয়া হয়েছে।
হরষিত সিংহ