কী করতে হবে?
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একটি গবেষণা অনুসারে, ভাতে ক্যালোরি কমানোর সহজ উপায় হল ফুটন্ত জলে এক চা চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা ভাত রান্না করা। তারপর অতিরিক্ত জল ফেলে দিয়ে ১২ ঘন্টা ফ্রিজে রাখা।
আরও পড়ুন- হাই হিল পরতে ভালোবাসেন? নিজেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
advertisement
স্টার্চ ও ওজন হ্রাস
গবেষণা অনুযায়ী রেজিসট্যান্ট স্টার্চ বা প্রতিরোধী স্টার্চ তৈরি হয় সারা রাত ভাত ভিজিয়ে রাখলে। ফলে এটি ক্ষুদ্রান্ত্রে ভেঙে যায় না যেখানে কার্বোহাইড্রেট গ্লুকোজ ও চিনির অন্যান্য ভাগে রূপান্তরিত হয় এবং রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। সুতরাং, যদি কেউ ওজন কমাতে চায়, হজমযোগ্য স্টার্চকে প্রতিরোধী স্টার্চে রূপান্তরিত করতে হবে, যা ক্যালোরির সংখ্যা কমাতে আরও সাহায্য করবে। আর ভাত ফ্রিজে রেখে দিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রকৃত ঘটনা
ভাত খেলে তখন তা শরীরে গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত হয় এবং পেশfগুলির জন্য ওয়ার্কআউট-পরবর্তী এনার্জির ভাণ্ডার তৈরি করে। যদি কেউ ব্যায়াম নাও করেন বা কোনও কঠোর শারীরিক কার্যকলাপে লিপ্ত না হন, তাহলে এই গ্লাইকোজেন গ্লুকোজে পরিণত হয় এবং চর্বি হিসাবে শরীরে জমা হতে থাকে। সেই কারণেই বার বার ডাক্তাররা বলেন শারীরিক পরিশ্রম করতে।
গবেষণা কী বলছে
গবেষণা অনুসারে, এই তেল মিশিয়ে ফ্রিজে ভাত রাখার কৌশলটি ৬০ শতাংশ ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে রাইস রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চের (আরএস) ঘনত্ব বৃদ্ধি এই ক্যালোরি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। বলা হচ্ছে যে যদি সেরা জাতের ধান এভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় তবে এটি প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ক্যালোরি কমাতে পারে।
আরও পড়ুন- সুজি নাকি বেসন, ওজন কমাতে ভাল বিকল্প কোনটি?
শেষ কথা
কিন্তু ভাত নিয়ে যে গবেষণা হয়েছে সেখানে বার বার বলা হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়ায় বা খাদ্য অভ্যাসে কোনও পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
