রবিবার রাতে এই ঘটনার পরেই পরিবারের তরফে পুলিশের কাছ থেকে ঘটনার বেশ কিছু তথ্য নেন প্রিয়াঙ্কার পরিবার। তরুণীর সঙ্গে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দায় কার? নাগরদোলায় কি সমস্যা ছিল? একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা আহত তরুণীর পরিবারের।
দায় যাঁর তাঁকে শাস্তি দিতে আহতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করল এন্টালি থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় রামলীলা ময়দানে মেলার দায়িত্বে থাকা মালিক ও নাগরদোলার এক কর্মীকে।
advertisement
আরও পড়ুন- যেন সিনেমা! পাটুলিতে হার ছিনতাইবাজকে বাইকে ধাওয়া করে ধরল পুলিশ
এন্টালি থানার পুলিশ চিত্তরঞ্জন সাহা ও মহম্মদ ওসমানকে গ্রেফতার করে। এই দুইজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বৈদ্যনাথ বাছারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্তদের থেকে পুলিশের তরফে অনুমতিপত্র ও মেলায় নাগরদোলার মতো সামগ্রীর হিসাবও নেওয়া হয় রবিবার। যদিও রাত প্রায় নটার সময় ঘটনার পরেই রামলীলা ময়দানে মেলা বন্ধ করে দেয় এন্টালি থানায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাগরদোলায় উঠে বসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বেশ কয়েক রাউন্ড পাক খাওয়ার পর হঠাৎই নাগরদোলা থেকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন খবর দেয় এন্টালি থানায়।
ঘটনাস্থলে রবিবার রাতে পুলিশ এসে উদ্ধার করে আহত তরুণী প্রিয়াঙ্কা সাউকে। আহত তরুণীকে কলকাতার নীল রতন সরকার মেডিকেল ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই তরুণী নাগরদোলা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় কোথাও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এন্টালি থানায় পুলিশ বেশ কিছু ধারা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- খতিয়ে দেখা হচ্ছে নবান্নের নিরাপত্তা! বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন
এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করলেও আহত তরুণীর বয়ান নিতে চায় এন্টালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক। এদিকে পরিবারের সঙ্গে কথার বলার পাশাপাশি মেলার অন্য কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
