পলিগ্রাফ টেস্টে কারা উপস্থিত থাকবেন?
সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয় রাই, সন্দীপ ঘোষ সহ বাকিদের পলিগ্রাফ টেস্টের সময় একজন মনোবিদ, একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং ইনটেনসিভিস্ট এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত থাকবেন৷
কীভাবে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়?
অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং ইনটেনসিভিস্ট দেখবেন পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য কোন ব্যক্তির শরীরে কী ধরনের ওষুধ কতটা মাত্রায় প্রয়োগ করা যাবে যাতে তিনি আধো আচ্ছন্ন হয়েও জবাব দেওয়ার মতো অবস্থায় থাকেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: সেমিনার রুমের দিকে যাচ্ছে সঞ্জয়, প্রকাশ্যে আরজি করের সেই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ!
এর পর যে ব্যক্তির পলিগ্রাফ টেস্ট হবে, তার শরীরের মূলত উপরের অংশে প্যারাফরমালডিহাইড নামে বিশেষ ধরনের নল লাগানো হবে৷ এই নলের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হৃদস্পন্দনের, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের গতি, শরীরের নড়াচড়া, রক্তচাপের মাপ গ্রাফ আকারে একটি মনিটরে ফুটে উঠবে৷ সেই গ্রাফের ওঠানামার উপরে নজর রাখবেন বিশেষজ্ঞরা৷
পলিগ্রাফ টেস্টে কীভাবে প্রশ্ন করা হয়?
যে ব্যক্তির পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে, প্রথমে মনোবিদরা তাঁকে সাধারণ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকেন৷ তার পর ধীরে ধীরে মামলা সংক্রান্ত প্রশ্ন শুরু করা হয়৷
মিথ্যে বললে কীভাবে ধরা পড়ে?
উত্তরদাতা সত্যি বলছেন না মিথ্যে, তা বুঝতে গ্যালভানিক স্কিন রেসপন্স টেস্ট করা হয়৷ উত্তরদাতা মিথ্যে বললে তাঁর ঘাম হবে, হৃদস্পন্দনও ওঠানামা করবে৷ একই সঙ্গে রক্তচাপ, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের গতিতেও বদল আসবে৷ এই সমস্ত মানদণ্ডের ওঠানামা দেখেই বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করতে পারেন যে উত্তরদাতা সত্যি বলছেন না মিথ্যে৷ পলিগ্রাফ পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপের মতো বিষয়গুলির ওঠানামা ভালভাবে বিশ্লেষণ করেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে তদন্তকারী অফিসারদের দেবেন বিশেষজ্ঞরা৷
পলিগ্রাফ টেস্টে কতক্ষণ সময় লাগে?
সিবিআই সূত্রে খবর, এক একজনের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময়ও লাগতে পারে৷ যার পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে, তাঁকে কতগুলি প্রশ্ন করা হচ্ছে তার উপরেই সময় নির্ভর করে৷
তবে চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন, মিথ্যে বললেই যে পলিগ্রাফ টেস্টে ধরা পড়বে, এমনটা নাও হতে পারে৷ মিথ্যে বলে অভ্যস্ত যারা, অথবা পোড় খাওয়া অপরাধীদের ক্ষেত্রে মিথ্যে বলা সত্ত্বেও শরীরে কোনও উল্লেখযোগ্য বদল পলিগ্রাফ পরীক্ষায় ধরা না পড়তে পারে৷ আবার, সুযোগ থাকলে আগে থেকে কেউ মানসিক উদ্বেগ কমানোর ওষুধ খেয়ে পলিগ্রাফ টেস্টের মুখোমুখি হলে তাঁরাও মিথ্যে বলে পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে ফাঁকি দিতে পারেন৷ এই কারণেই আদালতের কাছে পলিগ্রাফ পরীক্ষার ফলই চূড়ান্ত গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রমাণ হিসেবে বহু ক্ষেত্রেই গ্রাহ্য হয় না৷