রাজভবন সূত্রে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে র্যাগিং রুখতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা, এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথের সঙ্গে৷ কী কী প্রযুক্তি এনে শিক্ষা ক্যাম্পাসে এই র্যাগিং চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে তাঁদের মধ্যে৷
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে সরাসরি প্রস্রাব করলেই… ঘটবে এই অদ্ভুতুড়ে ঘটনা, বলছেন খোদ বিজ্ঞানীরাই
advertisement
এছাড়াও, র্যাগিং রুখতে প্রযুক্তি গত ব্যবস্থা নিতে হায়দরাবাদের অ্যাডরিন সংস্থার সঙ্গেও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যোগাযোগ করেছিলেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে৷
এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে ইসরোর তরফেও৷ ভিডিও অ্যানালিটিক্স, ইমেজ ম্যাচিং অটোম্যাটিক টার্গেট রেকগনিশন এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত করতে নতুন ব্যবস্থা প্রণয়নের ছক কষে দেবে ইসরো৷ এমনকি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন ভিসি বুদ্ধদেব সাউকেও বিষয়টি ক্যাম্পাসে প্রণয়নের বিষয়ে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: যৌন কেলেঙ্কারির পরে নির্বাচনে ঘোর কারচুপি, ফের গ্রেফতার ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের নবাগত ছাত্র৷ পরের দিন ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব৷ ওই ছাত্রকে নগ্ন অবস্থায় হস্টেলে প্যারেড করানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরাও৷ সেই র্যাগিং থেকে বাঁচতেই বারান্দায় দৌড়োদৌড়ি করছিল ওই ছাত্র, তারপর কোনও ভাবে তিনতলা থেকে নীচে পড়ে যায়৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷