আরও পড়ুন-উত্তর প্রদেশে ফের গেরুয়া ঝড়... জিতে যোগীর ট্যুইট ‘এটা লোকতন্ত্রের জয়...’
এদিন বিধানসভায় দুপুর ২টোর সময় বাজেট পেশ করতে চলেছেন চন্দ্রিমা (Chandrima Bhattacharya)। তার আগে দুপুর ১টায় রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক হবে বিধানসভায়। তবে সকলের নজর আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রেখে কীভাবে একাধিক প্রকল্পের খরচ সামলানো যায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ঘোষণা করেছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে চালু করে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। প্রতি মাসে মহিলারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যান। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পও চলছে। এই অবস্থায় ভোটবাক্সে যে প্রকল্পের সুফল মিলেছিল, আগামী এক বছরে সেই প্রকল্পের কাজ যাতে চলতে পারে সেটা বজায় রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ (West Bengal Budget Session)।
advertisement
আরও পড়ুন-রাশিফল ১১ মার্চ; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
বিশেষ করে কোভিডের পরে যে ভাবে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি বেসামাল হয়ে পড়েছে তাতে এই বাজেট চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন আধিকারিকদের একাংশ।গত এক বছরে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে রাজ্যের ব্যয় বাড়লেও, আয় সীমিত থেকে গিয়েছে ৷ মানুষের চাহিদা এই সব প্রকল্প নিয়ে এতটাই বেড়েছে যে সামাজিক প্রকল্পে কাঁটছাট করা সম্ভব নয়। গত বছর জুলাই মাসে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, তা ছিল কয়েক মাসের জন্যে। পেশ হতে চলা বাজেটে এক বছরের জন্যে বাজেটে সামাজিক প্রকল্পের জন্য অর্থ সংস্থান করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার বলেছেন, তাঁর এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য রাজ্যে শিল্পায়ন। রাজ্য সরকার ডেউচা-পাচামি, তাজপুর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। আগামী মাসেই রাজ্যে আছে শিল্প সম্মেলন। বড় বিনিয়োগ আহ্বান করছে রাজ্য। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্পের বিকাশের জন্য প্রয়োজন পরিকাঠামো। সামাজিক প্রকল্প সামলে কিভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো যাবে সেদিকে নজর এই বাজেটে।