এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”কিছু কিছু ক্ষেত্রে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাকে। আমি চাই সভা শান্তিপূর্ণ হোক। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সভা হলে বিধানসভা ও বিধায়ক সমৃদ্ধ হয়। আমি চাই বিরোধী বিধায়করা আরও বেশি করে যোগ দিন। মন্ত্রীদের কাজের ফাঁক ফোকর বোঝা যায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে।”
আরও পড়ুন: গিরিরাজের ‘নাচ’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল বিধানসভা, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান!
advertisement
অধ্যক্ষের সংযোজন, ”সকালে সদস্য সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকে। যারা প্রশ্ন করেন, তারা আসছেন না। মুখ্যমন্ত্রী আসলে বিধানসভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। উত্তাপ ও উত্তেজনা থাকবে। কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকবে। আমাদের সদস্যরা বলুন। আরও প্রশ্ন করুন। নওশাদ অনেক স্বাধীনচেতা। তাপস রায় প্রাণবন্ত মানুষ। কিন্তু হাউজের মধ্যেই মাঝে মাঝে এমন আড্ডা জুড়ে দেন, যে আমি বিরক্ত হয়ে যাই।”
আরও পড়ুন: ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক! গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি, রইল ভিডিও
বিরোধীদের উদ্দেশ্যেও স্পিকার বলেন, ”বিরোধীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ওয়াক আউট করলেই আপনাদের কাজ হবে বলে আমি মনে করি না। উত্তাপ ও উত্তেজনা থাকবে। কিন্তু হাউজ আসুন।”
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, ‘‘নারীবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমন মন্তব্য করতে পারেন না৷ তৃণমূলে ৩৫% মহিলা জনপ্রতিনিধি।’’ অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা যুক্তি, যিনি এই বিধানসভার এই সদনের সদস্য নয় তাঁকে নিয়ে প্রস্তাব আনা যায় না৷ অধ্যক্ষ হইচই থামানোর কৌশল নিলেও উত্তেজনা থাকে অব্যাহত৷ অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘এমন মন্তব্য না করাই ভাল৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে। যা বলেছেন তা বাঞ্ছনীয় ছিল না।’’