সেখানেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় পেপটক দেন কলকাতা পুরসভার প্রার্থীদের। এবার পুরভোটে কলকাতায় একাধিক ওয়ার্ডে নতুন মুখ নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের প্রচার, তাদের জনসংযোগ নিয়ে একাধিক কৌশল গ্রহণ করেছে জোড়াফুল শিবির। সেই কারণে তাঁরা মানুষের কাছে কীভাবে পৌছবেন, কোন কোন ইস্যু মানুষের কাছে তুলে ধরবেন তার সবটাই আলোচনা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের নির্দেশ, কোন ঝামেলা-গণ্ডগোল করা যাবে না। গা জোয়ারি করলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৬ বছরের 'প্রাপ্তি' এবার থাকবে তো? পুরভোটের আগে অঙ্ক কষছে BJP
অন্যদিকে, কোভিড বিধি মেনে পুরভোটের প্রচার চালানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। সেই সঙ্গে ছোট ছোট প্রচারসভা এবং দুয়ারে দুয়ারে প্রচার করে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে যাতে পৌঁছনো যায়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রার্থীদের। এ ছাড়াও কী ভাবে তাঁরা প্রচার করবেন, প্রচারের সময় কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দেবেন, কী ভাবে মানুষের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দেবেন—এই সব রণকৌশল ঠিক করা হয় বৈঠক থেকে।
আরও পড়ুন: শক্তি হারিয়েও কতটা মারাত্মক জাওয়াদ? কী ঘটতে চলেছে বাংলায়?
চলতি বছরের প্রার্থী তালিকা পুরনো-নতুনের মিশেলে তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিষ কুমার, দেবব্রত মজুমদারের মতো ব্যক্তিরা যেমন টিকিট পেয়েছেন। তেমনি অনেক মুখকে বাদও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভোটের ফল হিসেব করে দেখা গেছে কলকাতার গরিষ্ঠ অংশেই এগিয়ে আছে তৃণমূল। কিন্তু দল চাইছে ২০২৪ এর আগে প্রতিটি ভোটের প্রেক্ষিত বিচার করতে। তাই লোকসভা ভোটের আগে শহরাঞ্চলের মানুষের কাছে দল সম্পর্কে অবস্থান কী? ভাবনা কী? সেটাই বুঝে নিতে চাইছে শাসক দল। বৈঠকে ছিল হয়েছে, সরকারের সামাজিক স্কিম, তার প্রাপ্ত সুবিধা, কোন শ্রেণির নাগরিক পাচ্ছেন সেই বিষয়গুলিকেও প্রচারে তুলে ধরতে হবে।