পটনার এই বৈঠকের পরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন, বিরোধী জোটের কোনও প্রভাব বাংলার রাজনীতিতে পড়বে৷ বলা ভাল, অধীর খোলাখুলিই বুুঝিয়ে দিয়েছেন এ রাজ্যে তৃণমূলকে জায়গা ছাড়তে রাজি নন তিনি৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেল রাজ্য
এ দিন তারই পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দলও৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না শাসক দল৷ একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বুঝিয়ে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত পটনার বৈঠকের ফর্মুলা মেনে বিরোধী জোট গঠন হলে ২০২৪-এ রাজ্যে অগ্রাধিকার পাবে শাসক দলই৷
advertisement
এ দিন সৌগত রায় বলেন, ‘আমরা বরাবর বলে এসেছি, বিজেপির বিরুদ্ধে জোট হবে৷ যে রাজ্যে যে শক্তিশালী তাকে লড়তে দিতে হবে। কংগ্রেস এই রাজ্যে লোকসভায় দুটি আসন পেয়েছে৷ কংগ্রেস বিধানসভায় শূন্য। আবার বামেরা শূন্য। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী।’
আরও পড়ুন: মাসে মাসে ৩০০০ পাবেন বাংলার মহিলারা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘সত্যি’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে কটাক্ষ করে সৌগত রায় বলেন, ‘অধীর চৌধুরী একজন হতাশ রাজনীতিবিদ৷ ওনার কথার গুরুত্ব ওঁর নিজের দলেই নেই। মাটিতে ওনার শক্তি কি? আগে বলুন এই রাজ্যে পঞ্চায়েতে কত প্রার্থী দিতে পেরেছে৷’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে পটনার বৈঠকের শেষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, নিজেদের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও জোটের স্বার্থে সব বিরোধী দলকেই নমনীয় হতে হবে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূল কতটা নমনীয় হয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷ আগামী মাসে সিমলায় বিরোধী শিবিরের পরবর্তী বৈঠকে এই ধোঁয়াশা কাটে কি না, সেটাও দেখার৷