কলকাতা: উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার আক্রান্ত হয়ে হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। রীতিমতো রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে খগেন মুর্মুকে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সেই ঘটনা প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যা কাম্য নয়। কারও উপর কোনও আঘাত নয়। যে যার মতো আসবে কথা বলবে চলে যাবে। সবার অধিকার আছে। আসুন সবাই মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।” সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এও বলেন, “৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়ে।”
যদিও বিজেপি এখন তাদের সাংসদ, বিধায়কের উপর হামলা নিয়ে বড় আকারে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকী, ২০২৬ সালে বাংলায় সরকার পরিবর্তন হলে ‘বদলার‘ হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”বিজেপি ওয়াশ আউট হয়ে যাবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই থাকবেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পদ থাকবে না। কারণ সেই সংখ্যক বিধায়ক বিজেপির থাকবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে সেই সংখ্যক আসন দেবে না।”
তবে, নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন কুণালও। তিনি বলেন, ”যে ঘটনাটা ঘটেছে, অত্যন্ত খারাপ ঘটনা আমরা নিন্দা করি। খুব খারাপ ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। কিন্তু মানুষের যদি ক্ষোভ থাকে কোনও নেতা বা দলের উপর। তাহলে সমস্যাটা বুঝতে হবে। কারণ মানুষ জানে এরাই ১০০ দিনের টাকা পেতে দেয়নি। এরাই আবাসের টাকা দিতে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হয়েছে সেই টাকা। বিপদের দিনে এরা থাকে না মানুষের পাশে। আর আজকেও ত্রাণ নিয়ে যায়নি, ফটোশ্যুট করতে গেছে। মানুষ সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা এই বিক্ষোভের পদ্ধতির সমর্থন করি না।”