কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, করনালে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন কৃষকরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের উপর নির্মমভাবে হামলা ও লাঠিচার্জ করা হয়েছে। শত শত কৃষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানার প্রধান গুরনাম সিং চধুনি কৃষকদের কাছে আবেদন করেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে হরিয়ানা পুলিশ মুক্তি না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চালিয়ে যান।"
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টা পার, এখনও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও পড়ুয়াদের! কেন?
এরই মধ্যে করনালের মহকুমা শাসক আয়ুষ সিনহার একটি ভিডিও ঘিরে তোলপাড় পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলেই যেন মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় কৃষকদের। হরিয়ানার কারনালে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করার আগে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই মহকুমা শাসক। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে করনালের মহকুমাশাসক ম্যাজিস্ট্রেট আয়ুশ সিনহাকে বরখাস্তের দাবি তুলেছে।
কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও। তাঁর কথায়, “আপনি হরিয়ানভিদের হৃদয়ে আঘাত করছেন খট্টর সাহেব। কৃষকদের এই রক্ত কিন্তু বৃথা যাবে না। নতুন প্রজন্ম আপনাকে তার উত্তর দেবে।” আসলে শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকা করনালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কৃষকরা তাঁর সফরের প্রতিবাদ করতেই ওই এলাকায় জমায়েত করেছিলেন। তখনই তাঁদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কৃষক আহত হয়েছেন।
