গত বার সামলে এসেছেন দু'টি ভোট। তাই নিজের নির্বাচনী এলাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন পাড়ার ‘দেবাদা’। বহু পরিচিত মানুষকে হাতের কাছে তিনি পেয়ে যান। রোজ দিন কেউ তাঁকে মালা দিচ্ছেন। কেউ দিচ্ছেন মিষ্টি। কেউ আবার কাউন্সিলর হোক বা বিধায়ক, তাঁকে নাগালে পেয়ে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে সুরাহা চান। কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ হয়ে এখন রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এই নিয়ে পঞ্চমবার লড়েছেন ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এক কথায় হোম-ওয়ার্ড তাঁর।
advertisement
এবার বিধানসভা এলাকার জন্যও চালু করছেন নয়া জনসংযোগ হাতিয়ার। এক সময় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অভিভাবকের ভূমিকায় দেখা যেত দক্ষিণ কলকাতার এই সব এলাকায়। তিনিও যেন এখন এলাকার অভিভাবক, দেবাশিস বাবু জানিয়েছেন, 'এটা আমার সৌভাগ্য। যখন প্রথম দাঁড়াই, তখন কেউ ভাই ডাকত, কেউ দাদা ডাকত। এখন জেঠু ডাকে, কাকু ডাকে।' বলেই অমায়িক হাসি খেলে যায় দেবাশিস কুমারের মুখে।
আরও পড়ুন: ফরওয়ার্ড ব্লক দফতরে হাজির তৃণমূলের মহাসচিব! বাংলার রাজনীতিতে সৌজন্যের দৃষ্টান্ত
কমপ্যাক্টর বসানো থেকে, ব্যাটারি চালিত জঞ্জাল সাফাই গাড়ি-- দেবাশিস কুমারের ওয়ার্ড রয়েছে একাধিক আধুনিক পুর পরিষেবা। নিজের ওয়ার্ডের মানুষের দাবিদাওয়া, অভাব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে, চালু করেছিলেন ‘দেবাদাকে বলো’ কর্মসূচি। অভিনব এই উদ্যোগে তাঁর বাড়ির সামনে রাখা হয়েছিল সাজেশন বক্স । যাঁদের যা অভিযোগ বা পরামর্শ রয়েছে, সেই সাজেশন বক্স-এই ফেলে দিয়ে যাওয়া যাবে। রোজই জনসংযোগের পাশাপাশি, খোশমেজাজে চলছে চা-টোস্ট সহযোগে আড্ডা। কারণ তিনি নেতা হলেও দূরের নক্ষত্র হয়ে থাকেননি, থেকেছেন সবার কাছেই। তাই এলাকার মানুষ তাঁর কাছে এগিয়ে আসছে স্বতস্ফূর্ত ভাবেই।
এলাকায় ‘দেবাদা' ছাড়া কারও পোস্টারই বড় একটা নজরে আসেনা। তাহলে কেন নয়া এই ডিজিটাল জনসংযোগ ক্যাম্পেইন চালু করা? রাসবিহারীর বিধায়ক জানাচ্ছেন, "অনেক সময় মানুষ দেখা করার সময় বার করতে পারে না। আমিও অনেক সময় ফোন মিস করে যাই। এবার আর সেটা হলেও অসুবিধা হবে না। যে বা যাঁরা যোগাযোগ করবেন, সাহায্য চাইবেন তার সবটুকুই আমাদের ডেটা টিমের নজরে আসবে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।"
