প্রসঙ্গত, আজকেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আছে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা হবে রবিবাসরীয় বৈঠকে। তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ হয়েছে, "শতাব্দী প্রাচীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহের সুর। শুধু বিদ্রোহ বললে ভুল হবে, চরম বিদ্রোহের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবি হওয়ার পর পরিস্থিতি বড্ড গোলমেলে।" এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাব ও গোয়ার কথা উল্লেখ হয়েছে সম্পাদকীয়তে। লেখা হয়েছে, একটা জেতা রাজ্যকে কীভাবে বিরোধীদের হাতে তুলে দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: ইনিই বিশ্বের ভয়ঙ্করতম স্নাইপার! পৌঁছলেন ইউক্রেনে, ক্ষমতা শুনে কাঁপছে রুশ বাহিনী
তৃণমূল তাদের মুখপত্রে সমালোচনা করেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বের। সেখানে উল্লেখ হয়েছে, "উত্তরপ্রদেশের মতো সারা রাজ্য ঘুরে বেড়ালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দিনের শেষে আসন মাত্র দুই! সর্বকালীন রেকর্ড। এই যে মনে করা হচ্ছিল ইন্দিরার উত্তরসূরি প্রিয়াঙ্কা তা সমূলে প্রপাতধরণীতল হল ভোটে.......দিনের শেষে শূন্য কলসি। বর্ষীয়ান নেতারা দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করার কথা বলছেন। এই দাবিটা অনেক আগেই তোলা উচিত ছিল। তাহলে হয়তো কংগ্রেসটা বেঁচে যেত। সঙ্গে বর্ষীয়ান নেতাদেরও রিটায়ারমেন্টের চিঠি ধরানো উচিত৷ রাহুল পার্টটাইম পলিটিশিয়ান। প্রিয়াঙ্কা সদ্য এসেছেন। ফলে ছেলে-মেয়ের নেতিবাচক দিক ঢাকতে অসুস্থ সোনিয়াকে দলের হাল ধরতে হয়েছে। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: একদিনে-একসঙ্গে ৮১ জন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে 'রেকর্ড' সৌদি আরবের! কিন্তু কেন?
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ''কংগ্রেস নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ আসনে কংগ্রেসের জামানত জব্দ হয়েছে। গোয়ায় আমরা জোট করতে আগ্রহী ছিলাম। তারা তা করতে দিলেন না। কংগ্রেস কত দিন থাকে, সেটাই দেখুন। যারা প্রতিষ্ঠিত নেতা তাদের কেঁটে ছেঁটে এখন দিল্লি থেকে চাপিয়ে দেওয়া নেতৃত্বের কারণে এই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসকে আগামীদিনে বাইনোকুলার দিয়ে দেখতে হবে।