বিধানসভার বাজেট অধিবেশন নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল শাসকদল। প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর অনুমোদন চেয়ে বিধানসভার ফাইল গিয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস পড়ে গেলেও, রাজ্যপাল তাতে সই না করায় উদ্বেগ বাড়ছিল রাজ্যের। শেষ পর্যন্ত বুধবার বিকেলে ফাইলে সই করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বিধানসভা৷
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
প্রথমে ঠিক ছিল, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ৬। বাজেট পেশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার। কিন্তু, পরে সেই তারিখ পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। আর, বাজেট পেশের দিন ১০ ফেব্রুয়ারির বদলে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। ৬ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন শুরু হলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফর পিছতে হত। সূত্রের মতে, বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের দিনেই শুধু নয়, এবার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যের বাইরে থাকতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই নাকি অধিবেশন শুরুর দিন পিছনো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে সোনাঝুরির চায়ের দোকানে মুখ্যমন্ত্রী, চা বানিয়ে খাওয়ালেন সকলকে! দেখুন
দিন পিছনোর কারণ ব্যাখ্যায় না গিয়ে, পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরকারের কাছে বাজেট অধিবেশন সব সময়েই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার, বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে নবাগত রাজ্যপাল হিসাবে সি ভি আনন্দ বোস এবারই প্রথম বিধানসভার অধিবেশন শুরু করবেন।"
তবে, অধিবেশন ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু করেও ১০ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে আপাতত কোনও সমস্যা ছিল না। ১০ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে শুক্রবার। প্রথামাফিক শুক্রবার দিনটিই সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন। সেদিক থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটি বাজেট পেশের জন্য উপযুক্তই ছিল। কিন্তু, তা না করে ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবারকে বেছে নেওয়ার পিছনে নাকি জ্যোতিষ অঙ্ক রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। অর্থকরী বিষয়ে জ্যোতিষ অঙ্কে শুভ বুধবারেই তাই রাজ্য বাজেট পেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা।
তবে, এ সবই রটনা বলে জানাচ্ছে সরকারের অন্দরমহল। প্রথা অনুসারে, ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের ভাষণের উপরে আলোচনার জন্য ১০ ও ১৩ তারিখ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই কারণেই ১৫ তারিখে বাজেট পেশ হবে বিধানসভায়৷ কিন্তু,পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা প্রথা কোন নিয়ম নয়। আর, এই সরকারের আমলে, বিধানসভাতেই তার প্রমাণ রয়েছে।
