এসএসসি কাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য সহ একাধিক ব্যক্তির জামিন মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ঘরের ‘এই’ দেওয়ালে ঘড়ি রেখেছেন নাকি!…ওই জন্যেই সময় খারাপ যাচ্ছে, হাতেও থাকছে না টাকা!
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য CBI-এর তরফ থেকে রাজ্যের কাছে যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল৷
advertisement
সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব হবে? তা জানতে চেয়েই নির্দেশ জারি করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷
বিচারপতির বাগচীর মন্তব্য, ‘‘উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের এবং জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে। আর্থিক দুর্নীতির গুরত্ব শুধুমাত্র সাজার মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না। প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মানুষের আস্থা এবং সমাজের ওপর এর একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। ’’
তিনি বলেন, ‘‘সৎ সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে সেটা বলা যায় না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।’’