২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার (Kolkata) যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র হল টালা ব্রিজ (Tala Bridge)। দীর্ঘ দিনের পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সেতু। মঙ্গলবার বিধানসভায় মলয় ঘটক জানিয়েছেন, "আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করা যায়। তার পর মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এই ব্রিজের উদ্বোধন করা হতে পারে।"
advertisement
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে (Tala Bridge) যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর কিছু দিনের মধ্যেই টালা সেতু ভাঙার কাজও শুরু হয়ে যায়। উত্তর কলকাতার ওই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, তার জীর্ণ অবস্থার কথা। তার পরেই রেলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে। এর ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার পরামর্শ আগেই দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস। তাদের মতকে সমর্থন জানিয়ে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছিলেন সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। তিনি দেশের অন্যতম সেরা সেতু বিশেষজ্ঞও বটে।
আরও পড়ুন- স্কুল খুললেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য ব্রিজ কোর্স, দেওয়া হবে বই
রায়না টালা সেতুর (Tala Bridge) হাল একাধিক বার পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিবের কাছে। সেটা ২০১৯-এর অক্টোবরে। মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এর পরেই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মে মাসে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও পূর্ত দফতরের দায়িত্ব বদল হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী তখন ছিলেন অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- মদ খেয়ে রাতের অন্ধকারে স্পোর্টস বাইকের দাপট, পরিণতি মর্মান্তিক
নতুন মন্ত্রিসভায় মলয় ঘটক পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মলয় ঘটক জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হতে পারে। নয়া টালা ব্রিজ এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে প্রায় ১০০ বছর এই সেতু ভার বহন করতে পারে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত তারা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সমস্ত নকশা ও ফাইল দ্রুত দেখে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রেল লাইনের ওপরের অংশের কাজ নিয়ে আলোচনা চলছে।
Abir Ghoshal