আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা৷ তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কমিশনের উপরেই ছেড়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে কমিশনকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: পুনর্বাসনে ১০ হাজার কোটির প্যাকেজ, দেউচা পাচামির জমির পাট্টা-চাকরির নিয়োগপত্র বিলি মমতার
সেই মতোই বুধবার তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি, আইজি (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার৷ প্রাথমিক ভাবে পুরভোটে প্রায় রাজ্য পুলিশের চল্লিশ হাজার বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ বুধবারের বৈঠকে ভোটের নিরাপত্তায় আরও চার হাজার বাহিনী বাড়ানো হয়েছে৷ প্রতিটি বুথে একজন করে সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন৷ এরিয়া ডোমিনেশনে RAF, ইএফআর ব্যবহার করা হবে৷
আরও পড়ুন: হাতে সময় ২৪ ঘণ্টা, ভোটের জেলাগুলি থেকে রিপোর্ট তলব কমিশনের! কী জানাতে হবে?
প্রতিটি জেলার দায়িত্বে একজন করে ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকবেন৷ তার অধীনে ৫-৬ জন এসপি পদমর্যদার পুলিশ আধিকারিক থাকবেন। ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক সরসরি যোগাযোগ রাখবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে।
কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করলে তাঁর লিখিত কারণ আদালতকে জানাতে হবে কমিশনকে৷ এর পরেও পুরভোটে কোনও অশান্তি হলে তার দায় বর্তাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উপরেই৷
