বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই একটি সমীক্ষা চালিয়েছি। কোথায় কতজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা উদ্বৃত্ত রয়েছে কি না। এরকম প্রায় আট হাজার স্কুলের তালিকা আমরা তৈরি করেছি। এবার আমরা পুনর্বিন্যাস শুরু করব। যে মুহূর্তে, আমরা নতুন নিয়োগ শুরু করে দেব, তারপর থেকেই পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হবে।"
আরও পড়ুন: কামড়ে দিয়েছিল বেড়াল! সাহায্য চাওয়ার পরেও পাশে থাকেননি বিধায়ক, নেতাকে কড়া ধমক মমতার
advertisement
দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কোনও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কম, অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা বেশি। আবার কোনও স্কুলে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি, অথচ শিক্ষক - শিক্ষিকার সংখ্যা কম থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন টিচাররা। তাই সমস্ত সরকারি স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার বিষয়ে বিশেষ নীতি তৈরি করতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেই নীতিই ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে তা, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না হওয়ায় তা প্রণয়ন করা যাচ্ছে না এখনই।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্মঘটের দিন যেসব শিক্ষক শিক্ষিকা অনুপস্থিতি ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় স্তরে এখনই পদক্ষেপ করতে রাজি নয় রাজ্য। নবান্ন থেকে কোনও নির্দেশ এলে কোনও রকম দেরি না করে সেই পদক্ষেপ করা হবে। তবে, ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের দিন প্রায় ৭৮ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলগুলিতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়