করতে ডাকা হয়েছিল চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেশ কয়েকজনকে।
গত সোমবার ডাকা হলেও থানায় না এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা (চাকরিহারারা) জানিয়েছিলেন আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা তারপর সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। এরই মধ্যে চাকরিহরাদের একাংশ গত ১৫ মে রাতে পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর এর আগে বেশ কয়েকজন এসেছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে ২১ তারিখ যাদের ডেকে পাঠান হয়েছে তাঁরা এখনও পর্যন্ত আসেননি। কোনও ইমেল বা লিখিতও জানানো হয়নি চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে চাকরিহারাদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট। আনটেন্টেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃন্ময় মণ্ডল ও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের মধ্যে যে বিভাজন তা স্পষ্ট হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর টিটাগড়ে বলা বক্তব্যে। সেই বিধাজনেই পড়ল সিলমোহর যখন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হল মৃন্ময় মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন: ‘হুইস্কি’ না ‘বিয়ার’ কোনটি ‘কম’ ক্ষতিকর…? স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভাল, জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
একদিকে যখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের বেশ কয়েকজনকে তখন অন্যদিকে চাকরিহারা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১৫ মে রাতে বিকাশভবনে পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছে।
৭ মে থেকে বিকাশভবনের সামনে বসে রয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির শিক্ষাকর্মীরাও। ১৫ তারিখ রাতে বিকাশ ভবনের সরকারি কর্মীদের বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় চাকরিহারাদর। সেখানেই সরকরি সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিধাননগর উত্তর থানায় ডেকে পাঠানো হয় বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষকদের। ১৯ মে বেশ কয়েকজনকে ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা আসেননি। ২১ মে বেলা ১১:৩০ টা নাগাদ বিধাননগর উত্তর থানায় ডেকে পাঠানো হয় বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষকদের।