কমিশনের অবস্থান ‘সন্তোষজনক’ নয়। মতপ্রকাশ বিচারপতির। প্রথম দিন থেকে আমরা জানতে চাইছি যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভুল হয়ে থাকলে সেটা আপনারা খুঁজে পেয়েছেন কিনা এবং খুঁজে পেয়ে থাকলে আপনারা সেক্ষেত্রে কী করেছেন? কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।
আরও পড়ুন: ‘কারও ঐশ্বর্যকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকতেই পারে!’ চিরঞ্জিতের নিশানায় দলের কোন বিধায়ক?
advertisement
আমরা অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি। সেগুলো আদালতের সামনে পেশ করেছি। তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি। ফের জানাল কমিশন। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করার কোনও বিধি কমিশনের আইনে নেই। জানাল কমিশন। কাদের কমিশন সুপারিশ পত্র দিয়েছিল, এবং তার প্রেক্ষিতে কারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল সেটা প্রথমে জানা দরকার। যদি দেখা যায় যে কমিশন যাদের সুপারিশ করেছিল তাদের ছাড়া অন্য ব্যক্তিরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাহলে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য CBI দরকার নেই। মন্তব্য বিচারপতির। কমিশন কেন সব তথ্য আদালতের সামনে নিয়ে আসতে লজ্জা পাচ্ছে? প্রশ্ন বিচারপতির।
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি, বোনের গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে খালে ফেলে দিল দুই দাদা
গত প্রায় ১ মাস ধরে আমরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকে সাহায্য চাইছি। কিন্তু আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনারা কিছু লুকাতে চাইছেন। মন্তব্য বিচারপতি বসাকের। যাদের সুপারিশ পত্র দেওয়া হওয়া হয়েছিল তাদের ছাড়া কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নবম – দশমের ক্ষেত্রে ১৮৩ জনের সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গলদ ছিল। তাদের মধ্যে ১২২ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। জানাল কমিশন।
৬১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেননি কেন? আদালত বারণ করেছিল? সুপ্রিম কোর্টের কোন স্থগিতাদেশ আছে? হাইকোর্টের কোন স্থগিতাদেশ আছে? প্রশ্ন বিচারপতির। জানাল কমিশন, ‘না।’ ‘তাহলে প্রত্যাহার করুন।’ মন্তব্য বিচারপতির। এই ৬১ জনের রাজ্যের বেতন ভোগ করার কোন অধিকার নেই। মন্তব্য বিচারপতির। কমিশনের চেয়ারম্যান আশঙ্কা করছেন যে, এটা করলে তিনি আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হবেন। সওয়াল কমিশনের আইনজীবী। তাকে এটা সম্মুখীন হতে দিন, এটা তার কাছে নতুন কিছু নয়। মন্তব্য বিচারপতির। Rank Jumping আর OMR বিকৃত করা ছাড়া আর কী কী অভিযোগ ছিল? প্রশ্ন বিচারপতির। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ ছিল। জানাল কমিশন।
আমরা এটাও জানিয়েছিলাম যে বেশ কিছু সুপারিশপত্র আমরা দিইনি। জানাল কমিশন। বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য আরও একবার কমিশনকে সময় দিল আদালত। আগামী পরশু দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিশন।
যারা যোগ্য তাদের চাকরি চলে যাক সেটা আমরা চাইনা। তারা চাকরি করুক, কিন্তু অযোগ্যরা যেন চাকরিতে না থাকে। সওয়াল বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। কমিশন প্রথম থেকেই বলেছে যে তারা CBI এর তথ্য গ্রহণ করছেন এবং সেই তথ্যেকে বিশ্বাস করছেন। যদিও তারা বলেছেন নথির গ্রহণযোগ্যতা আদালতের দ্বারা বিচার্য হবে। পর্যবেক্ষণ আদালতের। ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।
কাদের কমিশন সুপারিশ পত্র দিয়েছিল, এবং তার প্রেক্ষিতে কারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল সেটা প্রথমে জানা দরকার। যদি দেখা যায় যে কমিশন যাদের সুপারিশ করেছিল তাদের ছাড়া অন্য ব্যক্তিরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাহলে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য CBI দরকার নেই। মন্তব্য বিচারপতির।