সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার নিজের এলাকায় ঘুরলেন তিনি। পরিচিত, প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দোলের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। নিজে রং মাখলেন অপরকেও রাঙিয়ে দিলেন। গান করলেন, "তু কেনে কাদা দিলি সাদা কাপড়ে।"
আরও পড়ুন - Holi 2023: শরীরের আনাচে কানাচে লেগে থাকা রঙ তোলার সহজ উপায়, রইল টিপস
advertisement
ছোট থেকেই উৎসব প্রিয় দক্ষিণ কলকাতার এই দাপুটে রাজনীতিবিদ যেকোনো উৎসব এই সবান্ধবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর দোলের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগও সেরে ফেলেন তিনি। উৎসব প্রিয় যেমন তেমনই খাদ্য রসিক হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তবে আজকাল আমিষ নৈব নৈব চ। তবে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। এদিন সকালেও খাবার প্লেটে ছিল জিলিপি।
আরও পড়ুন - সানিয়া-শোয়েবের কী সব অল ওকে? রিটায়েরমেন্ট পার্টিতে এত্ত লোক থাকলেও কেন নেই স্বামী, জোর গসিপ
তিনি বলেন, "মাছ, মাংস, ডিম না। পরিবারে বাকিরা খায়। আমার পছন্দ মিষ্টি। মিষ্টি ছাড়া আমার একদমই চলে না। এখনও প্রতিদিন অন্তত খাওয়ার পরে দুটো মিষ্টি চাই-ই চাই। যাঁরা আমার এই দুর্বলতার কথা জানেন তাঁরা আমার জন্য মিস্টি নিয়ে আসেন।"
সমাজে উৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই দিনটা রঙের উৎসব। তবে এর সঙ্গে অর্থনীতির যোগটাও গভীর ভাবে রয়েছে। যখন আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্থনীতির কথাটা মানুষ জানতেও পারেনি তখন থেকেই এই দিনটার সঙ্গে মানুষ জড়িয়ে পড়েছে। কিভাবে? দোল উৎসব যখন হয় তার আগে থেকেই মানুষকে অনেক আয়োজন করতে হয়। যেহেতু এটা ধর্মীয় উৎসব তাই পুজোর জোগাড় করতে হয়, রং কিনতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে পোশাক কিনতে হয় এরকম আরো অনেক কিছু। আর এর ফলে কারবার বাড়তে থাকে আর এই কারবারের ফলে মানুষের রোজকার বাড়তে থাকে। একটি উৎসব সকলের অজান্তেই অনেক মানুষকে অনেক কিছু দিয়ে দেয়। রাজ্য সরকারও যে বিভিন্ন উৎসবকে উৎসাহ দেয় তার ফলেও এইরকমই ভাবেই সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব পড়ে। অনেক মানুষের উপকার হয়।"
UJJAL ROY