যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বজবজের বিধায়ক। তিনি অবশ্য নতুন তথ্য যোগ করেছেন, সেখানে জানিয়েছেন, “আমি তো মনোজিৎ-এর বাবাকে ডেকে একবার শাসিয়েছিলাম। ওর ছেলে মাঝে মধ্যে যে সব আচরণ করত তা নিয়ে শাসিয়েছিলাম। ওর বাবা বলেছিল ছেলে শুধরে যাবে। কিন্তু ওই ছেলে শোধরালো না।”
advertisement
মনে করা হচ্ছে কলেজের প্রিন্সিপাল রুমে ভাঙচুর, সিসি ক্যামেরা নষ্টের যে অভিযোগ উঠেছিল মনোজিৎয়ের নামে। সেই সময়ে তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন অশোক দেব। পরবর্তী সময়ে মনোজিৎ গ্রেফতার হয়। মনোজিৎয়ের সঙ্গে তার যে বিশেষ সম্পর্ক নেই, তা ফের আরও একবার উল্লেখ করেছেন অশোক দেব। তিনি পুনরায় জানিয়েছেন, ‘অনেকেই তো আসে আমার কাছে। সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। আমি একজন রাজনীতিবিদ। তাই সবাই আসে। আমি কোনও চাকরির সুপারিশ করিনি। কলেজে কর্মী দরকার ছিল। আবেদন করেছিল, কাজ পেয়েছে। আমি চাকরির জন্য আজ পর্যন্ত কাউকে সুপারিশ করিনি। আর এটা চাকরি নয়। এটা প্রতিদিন চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কাজ। আজ আছে কাল নেই। আবারও বলছি, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে কাছের লোক হয় না।’
তবে মনোজিৎকে নিয়ে অতীতে ছাত্র ছাত্রীরা তার কাছে অভিযোগ করেনি বলেই জানিয়েছেন অশোক দেব। তিনি বলেন, “আমার কাছে অভিযোগ এলে আমি অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নিতাম। আমার কাছে পড়ুয়া ও কলেজের স্বার্থ, শৃঙ্খলা সবার আগে।” তবে মনোজিৎ মিশ্র কাণ্ড নিয়ে তিনি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অশোক দেব। আগামীদিনে কাউকে সাহায্য করার আগে ভাববেন বলে জানিয়েছেন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব।