তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা ভেবেছিল প্রশ্ন করার কোন লোক থাকবে না। ছাত্র আন্দোলন দমিয়ে দেবে। তৃণমূল সরকার ভুল ভেবেছিল। আর তাই আজ গত একদশকের মধ্যে প্রথম এসএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা এক লক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘একটা সুদীপ্তকে ওরা শেষ করেছে। লাখ লাখ সুদীপ্ত তৈরি হয়েছে। সুদীপ্তরা ক্যাম্পাসে না থাকলে ভর্তির সময় তোলাবাজি হয়। গায়ের জোড়ে ইউনিয়ন দখল করা হয়। আর যেখানে এসএফআইয়ের ইউনিয়ন আছে সেখানে নয়া শিক্ষা নীতি বাতিল এবং ছাত্র ভোটের দাবিতে গণভোট হয়, যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।’’ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর বলেন, "ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে এসএফআই লড়বে।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'বিজেপি নেতাদের দেখতে পেলেই ঘিরে ফেলুন', অভিষেকের বিরাট হুঁশিয়ারি! কেন বললেন, তুমুল জল্পনা
এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান বলেন, ‘‘দশ বছর আগে পুলিশ হেপাজতে সুদীপ্ত গুপ্ত যখন মারা যান সেই ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলে চিহ্নিত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেই ছোট ঘটনা বড় ঘটনায় পরিণত হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার রাজ্যে বন্দকি কারবার শুরু করেছে। ওরা স্কুল তুলে দিয়ে সেই জমি বন্দক দিতে চাইছে। আর রাজ্যটাকে বিজেপির হাতে বন্দক দিয়ে দিয়েছে।’’
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে বামেদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। গত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন জিততে পারেনি বামেরা। তবুও এর মধ্যেও একটি পরিসংখ্যান নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহিত আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের উল্লেখযোগ্য সদস্য বৃদ্ধি। সংগঠন সূত্রে খবর এবার এক লক্ষ্যেরও বেশি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সংগঠনের। এবার এই সংখ্যার শক্তি প্রদর্শন ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে চাইছে নেতৃত্ব