TRENDING:

দশ বছর পর বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে ইউনিট করল এসএফআই

Last Updated:

২০১৩ সালে বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে শেষবারের মতো ইউনিট করতে পেরেছিল এসএফআই। তারপর আবার ২০২৩ সালে ইউনিট করল সংগঠন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ২০১৩ সালে বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে শেষবারের মতো ইউনিট করতে পেরেছিল এসএফআই। তারপর আবার ২০২৩ সালে ইউনিট করল সংগঠন। মাঝের ১০ বছর কোনও ইউনিট ছিল না। এর পিছনে সন্ত্রাসকেই দায়ী করে সংগঠনের নেতারা। এবার ফের সেই ক্যাম্পাসে ইউনিট করতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত নেতৃত্ব।
বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে ইউনিট করল এসএফআই
বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে ইউনিট করল এসএফআই
advertisement

এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেছেন, "বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে আজ থেকে দশ বছর আগে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী দখল করেছিল ইউনিয়ন। ছাত্রীদের হেনস্থা করে বের করে দেওয়া হয়েছিল কলেজ থেকে। দশ গুণ স্পর্ধা নিয়ে বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে ইউনিট করল এসএফআই। প্রমাণ হচ্ছে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চোরের দল তৃণমূল ব্যাকফুটে। ছাত্রছাত্রীরা এসএফআইকেই চাইছে। তাই ভয়ে ছাত্রসংসদ করতে দিচ্ছে না রাজ্যের সরকার।"

advertisement

আরও পড়ুন: বিছানার চাদর সরাতেই... থরথর করে কাঁপতে লাগলেন মহিলা! আচমকা গলা ফাটানো চিৎকার! তারপর?

সংগঠনের নেতা মহম্মদ হাসিব হোসেন বলেন, "তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণেই ইউনিট করা যায়নি এতকাল। এখন ক্যাম্পাসে এসএফআই'র গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমতে থাকা ক্ষোভে সক্রিয়ভাবে সংগঠন করার জেদ বেড়েছে। দশ বছর পরে দশ গুণ স্পর্ধা নিয়ে বিদ্যাসাগর অঞ্চলের SFI বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজ ইউনিটের অষ্টম সম্মেলন সংগঠিত হলো মাহসা আমিনি মঞ্চ এবং কমরেড মানব মুখার্জি নগরে। সম্মেলন থেকে ১৩ জনের ইউনিট কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। সম্পাদক কমরেড ঈশানী দে, সভাপতি কমরেড অস্মিতা চৌধুরী।"

advertisement

আরও পড়ুন: দুটি ইলিশ মাছের দাম উঠল ১৭ হাজার ২০০ টাকা! ওজন কত কিলো? জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!

রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই সিপিএমের সংগঠনে ধাক্কা লেগেছে। প্রভাব পড়েছে গণসংগঠনগুলি। দুর্বল হয়ে পড়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআইও। একটা সময় কলেজে কলেজে সংগঠনের যে শক্ত বুনোটের উপর এসএফআই দাঁড়িয়েছিল পালাবদলের পর ধীরে ধীরে তা ভাঙতে শুরু করার ফলে একটা সময় ক্যাম্পাসের ভিতরে অনেক জায়গাতেই অস্তিত্ব হারায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

যদিও সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, শাসকদলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রছাত্রীদের জোর করে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখেছিল। আক্রান্ত হয়েছিল এসএফআই নেতৃত্ব। তবে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে না পারলেও ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীরা এসএফআইয়ের সঙ্গেই ছিল। এমনকি, সংগঠনের সদস্যও হয়েছিল তাঁরা। এখন ধীরে ধীরে সেই ভয় ভাঙতে শুরু করেছে। তাই আবার ক্যাম্পাসের মধ্যে এসএফআই জমি শক্ত করতে পারছে। বিধানসভা নির্বাচনে দল শূন্য হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য গা ঝাড়া দিতে দেখা যায় সিপিএমের সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠনকে। তা সে করোনা কালে রেড ভলেন্টিয়ারের কাজ করা বা যে কোনও বিষয়ে আন্দোলন সংগঠিত করা। ফলে মানুষের মধ্যে একটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার ফসল কিছুটা হলেও তাঁরা পাচ্ছে। এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
দশ বছর পর বিদ্যাসাগর মহিলা কলেজে ইউনিট করল এসএফআই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল