শিয়ালদহ স্টেশনে ভিড়ের কারণে ব্যস্ত সময়ে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয় বলে যাত্রীদের অনেক দিনের অভিযোগ। সেই সমস্যারও পাকাপাকি সমাধান চায় রেল। শিয়ালদহের ভিড়কে সামাল দিতে প্রয়োজনে সংলগ্ন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডকে সরানো যায় কি না, তা-ও বিবেচনা করে দেখছে রেল।
প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার যাত্রীর চাপ নিতে হতে পারে ১৬১ বছর বয়সের শিয়ালদহ স্টেশনকে। সেটা মাথায় রেখেই দ্রুত শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে চায় রেল। মেট্রোর হাত ধরে এমনিতেই শিয়ালদহ স্টেশনের লুক বদল হয়েছে। এবার পুরো স্টেশনকেই বদলে ফেলা হবে। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন শিয়ালদহ স্টেশন হবে বিমানবন্দরের মতোই।
advertisement
অমৃত ভারত প্রকল্প’-এর আওতায় রাজ্যের যে সব স্টেশনের উন্নয়ন হওয়ার কথা, তার মধ্যে শিয়ালদহ এবং দমদম অন্যতম। প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ খরচ করে প্রাথমিক ধাপের কাজ সম্পূর্ণ করার কথা। শিয়ালদহ স্টেশনের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ওই বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা।
ভিড়ের নিরিখে আর এক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন দমদম। সেখানেও স্টেশনে যাতায়াতের এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রাথমিক বিষয়গুলি থাকা জরুরি, মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।
আগামিদিনে যান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জটিলতা মিটলে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনের পরিসরে গাড়ি রাখার জায়গা প্রস্তুত করা এবং যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ আলাদা করে দেওয়া হবে। বছর খানেক আগেই ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল শিয়ালদহ স্টেশনকে। সেই মতো মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়ে গেলেও স্টেশনের সামনের পরিসরে কাজ শুরু করা যায়নি। কারণ, ওই কাজের জন্য বেলেঘাটা রোড-সহ আরও কিছু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হবে। ওই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রের খবর, সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে গাড়ির ভিড় সংক্রান্ত তথ্য ট্র্যাফিক বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশনে বাইরের আলোকসজ্জা ছাড়াও প্ল্যাটফর্মের ভিতরে যাত্রীদের তথ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থায় একাধিক বদল আনা হচ্ছে। একাধিক এলইডি স্ক্রিন ছাড়াও, বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করা হচ্ছে। নয়া লুকের জন্য অমৃত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় শিয়ালদহ পাবে ২৭ কোটি টাকা। অমৃতের ছোঁয়া পাচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশন।