প্রসঙ্গত, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নদিয়ার তেহট্ট ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রি হয়েছে। আর এই চাকরি বিক্রিতে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা ও তার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বিরুদ্ধে। গত বছর এপ্রিল মাসে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় তাপস-প্রবীরের নামে অভিযোগ দায়ের হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত কন্যা! ইডি-কে যা বললেন, তোলপাড় বাংলা
প্রবীর ও তার ঘনিষ্ঠ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার আসে সিবিআইয়ের হাতে। মামলা রুজু করে তেহট্টের বিধায়ক, প্রবীর সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। ডেকে বয়ান রেকর্ড করা হয় তাপস সাহার। এবার তলব করা হল প্রবীর কয়ালকে।
আরও পড়ুন: ফিরহাদের সামনেই বিস্ফোরক জাকির, এ কী বলে ফেললেন! রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রবীরের দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় দুটো কোটি টাকার বেশি টাকা এসেছে। কেন এত অল্প সময়ে এত টাকা প্রবীরের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল? জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে তেহট্টের বেতাই সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক ব্যক্তি চাকরি পাওয়ার আশায় প্রবীরকে টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কার নির্দেশে প্রবীর সেই টাকা নিয়েছিলেন? কার কাছে সেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো? সমস্ত তথ্য বয়ান আকারে প্রবীরের কাছে জানতেই তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। এমনকি তেহট্টের বয়ারবান্ধায় প্রবীরের বাড়িটিও সিবিআই স্ক্যানারে। ওই বাড়ি তৈরির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন? নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কি সেখানে লগ্নি হয়েছে? জানতে চাইছে সিবিআই।