শনিবার সকাল থেকে ৪ থেকে ৫ জন ইডির আধিকারিক সুজয় বাবুর শ্বশুরবাড়ি সহ, সুজয় বাবুর বাড়ি এবং সুজয় বাবুর অফিসে তল্লাশি চালানো শুরু করে। শ্বশুরবাড়ির চেহারা দেখে মনে হল না তারা বিত্তশালী বলে।যেহেতু ইডির রেইড চলছে, সেহেতু আশেপাশের কোনো মানুষ সেরকম ভাবে মুখ খুলতে চাইলেন না। প্রণবত্ব এবং সুব্রত কুমার বিশেষ করে এই দুজনকেই দীর্ঘক্ষন জেরা করছিল ইডির আধিকারিকেরা।
advertisement
সুজয় বাবুর, তিনজন শ্যালক মোটের ওপর বেকার বলা চলে। কেউ কোনো দোকানের সেলসম্যান, কেউ বা ছোটখাটো ভাবে প্রোমোটিংয়েক কাজের সঙ্গে যুক্ত। ইডির আধিকারিকেরা তাদের বাড়িতে বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে কিছু নথি উদ্ধার করে। শ্বশুরবাড়ির ঘরে ঢুকতেই একটি আলমারি ছিল।সেই আলমারির চাবি না পেয়ে অবশেষে মিস্ত্রি ডেকে এনে আলমারির চাবি ভাঙায় ইডির আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: কাদের নাম দেখিয়ে প্রশ্ন করল সিবিআই? শুভেন্দুকেই নিশানা, বিস্ফোরক দাবি অভিষেকের
সেই আলমারি থেকে বেশ কিছু সোনা কেনার এবং বন্ধক রাখার কাগজপত্র উদ্ধার করে। পরে বেহালা ম্যানটনের সেই সোনার দোকানে গিয়ে কাগজগুলো পরীক্ষা করে আসে ইডির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘বললেই পদত্যাগ করব, বই লিখলে বেস্ট সেলার হবে!’ মদনের নিশানায় কে? চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল
প্রায় ১৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডির টিম কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসের মধ্যে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে দামী মদের বোতল এবং ল্যাপটপ, কম্পিউটার পেয়েছে ইডি। সেখান থেকে একটি হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করে বলে সূত্রের খবর। সুজয় ভদ্রের আত্মীয়দের মিলে এবং অফিস মিলে মোট ৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তরফ থেকে তেমন কিছু জানানো হয়নি এখনও এ বিষয়ে।