সোমবার তাকে ফের আদালতে তোলা হবে। রেশনের খাদ্য সামগ্রি সরবরাহে দুর্নীতি হয়েছে। ২০২০ সালে নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় এফআইআর হয়। সূত্রের খবর, এর আগে এই দুর্নীতর তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের তরফে বার কয়েক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পরে এই মামলার তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি সূত্রে দাবি, ডিস্ট্রিবিউটরের অর্ডার থেকে সুকৌশনে চাল ও গমের বস্তা সরিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি এবং সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। তারই তদন্তে নেমে এবার নজরে বাকিবুরের একাধিক চাল ও গম মিলের রেজিস্ট্রার। কারণ সেই রেজিস্ট্রারেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য বলে দাবি ইডির।
advertisement
সূত্রের দাবি, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর ১০০ বস্তা গমের অর্ডার দিয়েছেন বাকিবুরকে। সেই গম সরবরাহ করার মধ্যেই লুকিয়ে দুর্নীতি। কি ভাবে দুর্নীতি হয়েছে? ইডি সূত্রে দাবি, এক একটি অর্ডারের সরবরাহ দিতে গিয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গম বা চাল সরিয়ে নেওয়া হত। এখানেই শেষ নয়, সেই খাদ্য সামগ্রি খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা পেয়েছে বাকিবুর।
শুধুই কি বাকিবুর? ইডির দাবি, এই কেলেঙ্কারিতে যোগ রয়েছে ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশের। কারণ তাদের কাছেও পৌঁছে যেত খোলা বাজারে বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার একটা অংশ। তাই তাদের ধরতে বাকিবুরকে জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে দাবি ইডির।
আরও পড়ুন, জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্বেগ, পরের জুলাইয়ে উইন্টার অলিম্পিকসের আয়োজনকারী নির্বাচন?
আরও পড়ুন, স্টেশনেই মিলবে খাসি থেকে চিংড়ি… পুজোর কদিন মুরগি-মটনে জমে যাবে ট্রেন সফর
আর রেজিস্ট্রার বুকে রয়েছে গরমিল। তা ধরতেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেজিস্ট্রার। কখন কত পরিমানে খাদ্য সামগ্রির অর্ডার এসেছে? কত সামগ্রি পাঠানো হয়েছে? সবটাই তদন্ত করে দেখছে ইডি। একই সঙ্গে আর্থিক লেনদেন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।