বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপিতে থেকেও ছিলেন না সব্যসাচী দত্ত। এমনকি দলের আদর্শের পরিপন্থী বেশ কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। দলের কোনও বড় অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়নি। লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে তিনি সরাসরি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। তখনই খানিকটা স্পষ্ট হয়ে যায় সব্যসাচী হয়তো তৃণমূলে ফিরতে পারেন ।
রাজনৈতিক পর্যবেকদের মত, সব্যসাচী এখন ঘরে ফিরলে তৃণমূলের বিস্তার লাভ। কারণ খড়দহ উপনির্বাচনে সব্যসাচীকে ইনচার্জ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই পরিস্থিতিতে সব্যসাচী সরে গেলে বিজেপি শিবির বড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন-অঞ্জলি থেকে সিঁদুরখেলা, অন্তিম প্রহরে রাজ্যবাসীকে বড় উপহার দিল হাইকোর্ট
সব্যসাচী কী কাজ করবে দলে যোগ দিয়ে, এবার তাঁকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তাও স্পষ্ট করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্টই বলেন, সব্যসাচী কাজ করবে উত্তর-পূর্বে। দলীয় সম্প্রসারণে তাঁকে কাজে লাগানো হবে বলে তৃণমূল নেত্রীর মত।
উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য সব্যসাচী ২০১৯ সালে তৃণমূল ছাড়েন মুকুল রায়ের হাত ধরে। কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগরে বিজেপির টিকিটে পর্যুদস্ত হন তিনি রাজনৈতিক মহলের মত তখন থেকেই সব্যসাচী অন্যান্যদের দেখাদেখি মন বদল করতে শুরু করেন।
প্রসঙ্গত সব্যসাচীর ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের। সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান হবে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই। তিনি সব্যসাচীকে এমন জায়গাই দেবেন যাতে মনমালিন্যের কোনও অবকাশ না থাকে। পাশাপাশি সুজিত বসুর সঙ্গেও ব্যাক্তিগত ভাবে কথা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর।