এদিকে এদিন মালদহে এসে অভয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে পরিকল্পিত খুনের শিকার। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই দায়ী। সঞ্জয় রায় একা বাইরে থেকে এসে এই ঘটনা ঘটিয়ে গেল আর ভেতরের কেউ কিছুই জানতে পারল না! একথা মানা সম্ভব নয়। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অনেকে ঘটনার সম্পর্কে যুক্ত। তদন্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে পুলিশ ও সি বি আই। আমাদের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চাই আসল অপরাধীরা সামনে আসুক এবং সকলের সাজা হোক। মন্তব্য অভয়ার মার।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘ধনকে দেখিলু…মনকে চিনলু নাই’ ভাইরাল গানের ‘নায়ক’ এখন কী করেন? জানলে আপনি চমকাতে বাধ্য
এদিন অভয়ার বাবা বলেন, “একা সঞ্জয়ের ফাঁসি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। আরও যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তারা সকলেই তদন্তের আওতায় আসুক। শিয়ালদহ কোটের রায়ে স্পষ্ট এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত। এই বিষয়টি আড়াল করা হচ্ছে। আমার মেয়ে সরকারি কর্মচারী। কর্মরত অবস্থায় মানুষের সেবা করতে গিয়ে ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয়েছে। তাই রাজ্য সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।”
সরস্বতী পুজোয় কেন ‘ইলিশ’ খাওয়া হয় জানেন? এই ছোট্ট ‘সত্যিটা’ আপনাকে চমকে দেবে…! না জানলে পিছিয়ে পড়বেন
তিনি আরও বলেন, “আমি কেন পদত্যাগ দাবি করেছি তা নিয়ে আমাকে শাসকদলের তরফ থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, আমি কেন দাবি করেছি তার কারণ রায়ের মধ্যেই স্পষ্ট। একজনকে দোষী করে বাকিদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। সরকারই এটা করছে।”
সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্য সরকারের তড়িঘড়ি উচ্চআদালতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভয়ার বাবা। সিবিআইও ফাঁসির দাবিতে উচ্চ আদালতে গিয়েছে। আর সঞ্জয় শাস্তি মুকুবের দাবি করেছে। এই সবই খেলা চলছে। আমরা এই খেলায় নেই। আমরা চাই বাকি যারা যুক্ত তারা সামনে আসুক। কিন্তু, রাজ্য তা চাইছে না, এই কারণেই রাজ্যের প্রধানের পদত্যাগ চেয়েছি। শিয়ালদা কোটের বিচারককে আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি বললেন অভয়ার বাবা।
অন্যদিকে অভয়ার পরিবারের আইনজীবী তড়িৎ ওঝা এদিন বলেন, “এই মামলায় পরবর্তীতে আমাদের কৌশল কি হবে তা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী পাঁচ তারিখ কলকাতা হাইকোর্টের মামলার শুনানি রয়েছে। আমরা রি- ট্রায়াল চাইছি। আমাদের যুক্তি হল, আরজি করে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা রয়েছে। সিবিআই এবং ইডির তদন্তেও তা স্পষ্ট। দুর্নীতির প্রতিবাদের স্বীকার হতে হয়েছে অভয়াকে। আরজি করে দুর্নীতির মধ্যেই লুকিয়ে আছে অভয়ার খুনের মোটিভ। রি- ট্রায়ালের আদেশ পেলে কেউ ছাড় পাবে না।”