ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা৷ জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে ওই দফতরে গ্রুপ সি পদে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন অমিত দে। তারপর তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হয়ে ওঠেন। পরে যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদল হয়, তখন, এই অমিতও খাদ্য দফতর থেকে বন দফতরে স্থানান্তরিত করেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাবাকে বলেছিলাম দীপিকা পাডুকোণকে বিয়ে করবই!’ দেখুন রণবীরের স্বপ্নের বিয়ের সেই ভিডিও
এই অমিতের বাড়িতেও সকালে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতিতে তাঁর একটি বড় যোগের প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
পুজোর মরসুমে মা-ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে পুরীতে গিয়েছেন অমিত৷ ঠিক সেই সময়েই এই ইডি অভিযান৷ নাগেরবাজার এলাকায় এই অমিত দে-র ৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এই তিনটি ফ্ল্যাটেই একসঙ্গে হানা দেন গোয়েন্দারা৷ তবে তাঁরা ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকতে পারেননি বলেই সূত্রের খবর৷
গ্রুপ সি এর চাকরি করেও কী ভাবে এই ব্যক্তি এত সম্পত্তির মালিক, সে কথাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের৷ কী ভাবে তিনি মন্ত্রীর এত কাছের হয়ে উঠেছিলেন, কী ভাবে তাঁর জীবনযাত্রার মান এতটা বদলে গেল সে সবই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ এদিন তল্লাশি চলে অমিতের বন্ধুর বাড়িতেও৷
আরও পড়ুন: মাধুরীর হাতে থুথু ফেলেছিলেন আমির! কিন্তু, কেন? অভিনয়ের মাঝেও কথা ছিল বন্ধ
ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি করে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি পায় ইডি। এছাড়া বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই বেশ কিছু তথ্য পায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে। তারপরই আজকের অভিযান বলে দাবি ইডির।
এছাড়া, এর পাশাপাশি মন্ত্রীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়িতেও হানা গোয়েন্দাদের। তাঁর বাড়ি টালিগঞ্জ এলাকায়। হাওড়া ইছাপুর এলাকাতেও হানা দিয়েছে ইডি। সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে, অভিজিৎ দাস নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি হাওড়া ভগবান চ্যাটার্জি লেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, এই অভিজিৎ দাস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ।
বাকিবুরের রেশন দুর্নীতির পিছনে কোন কোন প্রভাবশালী রয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। ইডির দাবি, বাকিবুর রহমানের একার পক্ষে দুর্নীতি সম্ভব নয়। মিলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারের দ্বারা এই রেশন দুর্নীতি হয়েছে। তবে সেই টাকা কোথায় কোথায়, কোন কোন প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছে? তার উত্তর খুঁজছে ইডি।