আরও পড়ুন: দুর্নীতি করলেই শুইয়ে দেওয়ার নিদান! দেউচা-পাচামিতে 'হোমটাস্ক' অনুব্রত মণ্ডলের...
২০২১ বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, একুশের বিধানসভায় তৃণমূলের অভাবনীয় সাফল্যের পর ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। ত্রিপুরায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্ত প্রাক্তন বনমন্ত্রীর এই ঘরে ফেরা ভাল চোখে দেখেননি অনেক তৃণমূল নেতাই। প্রথম থেকেই রাজীবের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরও এককাঠি সুর চড়ালেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee Prasun Banerjee)।
advertisement
রবিবার এক সভায় প্রসূনবাবুকে বলতে শোনা গিয়েছে,”ভোটের আগে পার্টি ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। দুদিন আগেও তাঁরা দিদিকে গালমন্দ করেছে। তাঁরাই এখন দিদির ছবি পকেটে নিয়ে ঘুরছে। তাঁদের অন্তত হাওড়ায় আসতে দেওয়া হবে না। আমি বেঁচে থাকতে কাউকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না। প্রয়োজন হলে আমি পদত্যাগ করব। দল যদি বলে তাহলে দল ছেড়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ের কাছে পড়ে থাকব। কিন্তু গদ্দারদের ঢুকতে দেব না।”
প্রসূনের মতো তীব্র সুরে না হলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। তাঁর বক্তব্য, “অনেকেই নেত্রীকে অনেক কথা বলেছে। আমি নিজেও একটা সময় বলেছিলাম গদ্দাররা দলে এলে আমি তৃণমূল দফতরের সামনে শুয়ে থাকব। কিন্তু আজ আমিই বলছি, এঁরা এতটাই পাপিষ্ঠ যে এদের পাপক্ষয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ধরতে হচ্ছে। এভাবে যদি এঁদের পাপক্ষয় হয়, তাহলে হোক।” যদিও, নিজের প্রাক্তন সহযোদ্ধাদের এই সব কটাক্ষের কোনও জবাব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও দেননি।